মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তারে রেড কর্নার নোটিশ জারির সুপারিশ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের একটি আদালতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশী শিল্পী মমতাজের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক দফায় কয়েক লাখ রুপি অগ্রিম অর্থ নিয়ে চুক্তি অনুযায়ী অনুষ্ঠান না করার অভিযোগ এনে ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ৪০২, ৪০৬ ও ৫০৬ ধারায় একটি প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন জনৈক শক্তিশঙ্কর বাগচী। সেই মামলায় শিল্পী হাজির হয়ে জামিন নিলেও জামিনের শর্ত না মানায় কলকাতা হাইকোটের নির্দেশে তার জামিন বাতিল করে নি¤œ আদালতকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয়া হয়। সেই মতো বহরমপুর আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও তা কার্যকর করা নিয়ে তৈরি হয়েছে সমস্যা। ফলে আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে রিপোর্ট দিয়ে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে সরকারের অসহায়তার কথা জানানো হয়েছে।
আদালতে দাখিল করা সর্বশেষ রিপোর্টে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশ সরকারকে মমতাজের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে নিয়মিত তাগাদা দিলেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। ভারতীয় হাইকমিশনের কনস্যুলার ও ভিসা সেক্রেটারি সুমিত চতুর্বেদী কলকাতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রকের ব্রাঞ্চ অফিসের ডিরেক্টর রঞ্জন ম-লকে পাঠানো চিঠিতে পরিষ্কার জানিয়েছেন, মিশনের পক্ষ থেকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে মমতাজকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে নিয়মিত তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র (বিদেশী বিভাগ) দপ্তরের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের বিদেশী সংক্রান্ত বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ভারতের সমস্ত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভিবাসন কর্মকর্তাদের বাংলাদেশী নাগরিক মমতাজ বেগমের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ যে মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি সে ব্যাপারে মামলার আবেদনকারী শক্তিশঙ্কর বাগচী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও ২০১২ সালে কলকাতায় এসে মমতাজ রাজ্যের শাসক দলের এক বিধায়কের আশ্রয়ে সংগীতানুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। তিনি ফিরে যাওয়ার সময়েও বিমানবন্দরের অভিবাসন বিভাগ তাকে আটক না করার ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন তিনি। তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, মমতাজের ভারতে আসার মাল্টিপল ভিসা বাতিল করা হয়েছে। তাকে ভারতে আসতে হলে নতুন করে ভিসার জন্য আবেদন জানাতে হবে। সূত্রঃ মানবজমিন