আইনজীবীর সম্মানী ও বিচারকের সম্মান

-জয়নুল আবেদীন
(২য় পর্ব)

প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বাগদাদের খলিফা হারুনুর রশিদের আমলে এক গরিব মুটে এক ধনী বণিকের বাড়ির সামনে বসে স্রষ্টার কাছে এই মর্মে ফরিয়াদ জানাচ্ছিলেন যে, ‘হে মাবুদ, এই তোমার বিচার! আমার নামও সিন্দাবাদ আর এই ধনী লোকটার নামও সিন্দাবাদ, লোকটা কী আরাম আয়েশে দিন কাটাচ্ছে, আর আমি সারা দিন মুট বয়ে গরিবই রয়ে গেলাম।’ সওদাগর কথাগুলো শুনতে পেয়ে মুটেকে ডেকে কাছে নেয়। কাছে গিয়ে বণিকের লোমহর্ষক সপ্তম বাণিজ্যের কাহিনী শোনায়। শুনে মাবুদের বিচারের পার্থক্যের কারণ বুঝতে পারেন। প্রতিটি সফল মানুষের সাফল্যের পেছনেও রয়েছে বণিক সিন্দাবাদের বাণিজ্যের মতো কষ্টকর কাহিনী।

পেশাজীবীদের মধ্যে যারা সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায় তাদের কথা আলাদা, অবশিষ্টদের অনেকেই কষ্টের নদী সাঁতরিয়ে এখনো ক‚লের সন্ধান করছেন। আমার চেম্বারে প্রায় প্রতিদিনই কলা-রুটি দিয়ে লাঞ্চ করি। জুনিয়র, তস্য জুনিয়র ও ক্লায়েন্টসহ লোকসংখ্যা বেড়ে কখনো কখনো আসন অপ্রতুল হয়ে পড়ে। এতে আমি মজা পাই। মজার আড়ালে একটা কারণও আছে। কারণ, এই পেশার শুরুতে কোনো কোনো দিন লাঞ্চ করার পয়সাও পাইনি। এ বিষয়ে জীবন থেকে নেয়া কিছু চিত্র প্রকাশ করছি।

‘আশির দশক। বাড়ি বসে কাল্পনিক কোর্ট আর বাস্তব কোর্ট আসমান-জমিন ফারাক। দিশেহারা মন নিয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির প্রধান কেরানির সাথে সাক্ষাৎ করে বিস্তারিত বর্ণনাসহ কোর্টের একজন ভালো সিভিল আইনজীবীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে অনুরোধ করি। প্রধান কেরানি দয়াপরবশত অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী সাহেবের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তার মতে, অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী একজন ভালো উকিল। প্রবীণ ইয়াকুব আলী শুধু সিভিল প্র্যাকটিস করতেন। সুরিটোলা আলুবাজারে ছিল চেম্বার। হেড ক্লার্কের অনুরোধে ইয়াকুব আলী আমাকে তার চেম্বারের ঠিকানা দিতে রাজি হন। রাতে গেলাম তার চেম্বারে। ৪০০ বর্গফুট পরিমিত চেম্বারের দু’দিকে বইয়ের তাক। তাকভর্তি বই আর বই। মোটা মোটা আইন বই থরে থরে সাজানো। নানা বয়সের চার-পাঁচজন জুনিয়র আইনজীবী, তাদের মধ্যে কেউ লিখছেন, কেউ টাইপ করছেন। কেউ মক্কেলের সাথে কথা বলছেন। ইয়াকুব আলী সাহেব ডিকটেশন দিচ্ছেন, তা শুনে একজন আইনজীবী খসখস করে লিখে যাচ্ছেন। লেখালেখির মধ্যে বাংলার নামগন্ধও ছিল না।

যে বিজাতীয় ভাষাটি শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়, আইনাঙ্গনে তার বহুল ব্যবহার দেখে খুব অসহায় মনে হতো। নিজেকে বড় খাপছাড়া লাগত। আসলে ইংরেজি মহলে আমার করার মতো কোনো কাজই ছিল না। তাই দুই-তিন রাত তার চেম্বারে আসা-যাওয়ার পর নিরাশ হয়ে নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায় দেওয়ানি আইনজীবীর জুনিয়রগিরি। থাকার জন্য কোর্টের আশপাশে হোটেল খুঁজলাম, আবাসিক হোটেল। পাওয়া গিয়েছিল। এতদিন এক মাসে যে বেতন পেতাম সে বেতন দিয়ে হোটেলে এক সপ্তাহ থাকার খরচ হয়। আইন পেশা শুরুর সাথে সাথে বন্ধ হয়ে পড়েছিল ওই বেতনভাতাও।

আমাদের গাঁয়ের অনেকে পুরান ঢাকার ইসলামপুরে কাপড়ের মার্কেটে কাজ করে। তাদের মধ্যে আমার সমবয়সী একজন, নাম বাহার আলী। সে হাজী মার্কেটের সর্দার। সর্দারের মার্কেট থেকে কোর্টে আসা-যাওয়া মাত্র ১০ মিনিটের পথ। হেঁটেই আসা-যাওয়া করা যায়। রাত ৮টার দিকে দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেলে মার্কেটের বারান্দা খালি পড়ে থাকে। খালি বারান্দায় ঘুমানো যায়, আড্ডা দেয়া যায়। আবার সারারাত তাস খেলে কাটালেও কেউ কিছু বলে না। তাই, কখনো কখনো তাস খেলেই রাত পার করে দিতাম। দোতলায় বাথরুম। বাথরুমে অজু গোসলও করা যায়, যাকে বলা চলে নির্ভেজাল স্বাধীনতা। এখানে থাকলে ভাড়াও লাগবে না। পাশেই নাশতার রেস্তোরাঁ। প্রতি প্লেট ভাত দুই টাকা। চার টাকার ভাত, দুই টাকার ডিম ও এক টাকার ডাল নিলে মনের মতো নাশতা হয়ে যায়। সকালে নাশতা খেয়ে দুপুরে পরোটা আর ডালভাজি হলেই চলে। পরোটার সাথে অতিরিক্ত ডালভাজি ফ্রি। দুই পরোটায় পেট না ভরলে বারবার ডালভাজি নিতাম।

মার্কেটে ফাউ থাকার মধ্যে সামান্য অসুবিধাও ছিল; রাত ৮টার আগে ভেতরে প্রবেশ করা যাবে না। সকাল ৮টার পর ভেতরে থাকা যাবে না। এ কারণে ভালো ছাত্রের মতো সকাল সকাল কোর্টে চলে আসতাম- আর কোর্ট ছাড়তাম সবার পরে। রাত জেগে তাস খেলা ও অনিয়ম অনিদ্রায় শরীর ভেঙে পড়ে। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, মক্কেল-উকিল পার্থক্য করাই কঠিন। ঠিক এ সময় দেখা হয় আমার এক সম্পর্কিত শ্যালকের সাথে। সে আমাকে দেখেই,
-কী দুলাভাই, আপনার কি কোনো অসুখ-বিসুখ ছিল?

আমি অসুখ থাকার কথা অস্বীকার করে অনিয়মের কথা বলি। অনিয়মের কথা শোনার পর-
-আপনি আমার সাথে চলেন। আমি একা থাকি। ভাড়া গুনতে হবে না। নাশতা ফ্রি। সময়টা কাটবে ভালো। পাশেই নদী। ইচ্ছামতো সাঁতার কেটে গোসল করতে পারবেন। পশ্চিমে ফসলের মাঠ। সবুজে ভরা। ভালো লাগবে; না বলবেন না, রাজি হয়ে যান।

রাজি হয়ে গেলাম। শ্যালক অনেক পয়সার মালিক। স্পিংয়ের কারখানা আছে। চার-পাঁচজন ছেলে কাজ করে, আর সে নমুনাসহ মিল-ইন্ডাস্ট্রি এলাকা ঘুরে ঘুরে অর্ডার নেয়। অর্ডার মোতাবেক মাল বানিয়ে সময়মতো সরবরাহ করে। টানটান ব্যবসা, রাত-দিন কাজ করেও অর্ডার শেষ করতে পারে না। বুড়িগঙ্গার পশ্চিম পাড় আগানগর কাঠুরিয়ায় তার কারখানা। কারখানার কাছেই বাসা।

প্রথম রাত পার করে দিই কথায় কথায়। ভোরে হাঁটতে বের হই। সবুজ ফসলি জমির ফাঁকে ফাঁকে বাড়িঘর ও কলকারখানা। কতদিন খোলা মাঠ দেখি না। খোলা মাঠ ঘুরে ফুরফুরে মেজাজে যখন বাসায় ঢুকি- শ্যালক তখনো ঘুমে। গোসল করার উদ্দেশ্যে গামছা সাবানসহ বুড়িগঙ্গার দিকে পা বাড়াই। বুড়িগঙ্গার পাড়ে ডকইয়ার্ড। জাহাজ নির্মাণ ও মেরামতের কারখানা। কিছু দূর পরপর রেললাইনের মতো লাইন। লাইনের একপ্রান্তে ক্রেইন আর অপরপ্রান্ত নেমে গেছে বুড়িগঙ্গার পানিতে। নদীর পানিতে ভাসতে থাকে তৈলাক্ত পদার্থের বর্জ্য। দু’হাত দিয়ে বর্জ্য সরিয়ে সাবধানে ডুব দিতে হয়। ভাসমান তেল বর্জ্যরে সাথে মাঝে মাঝে মানুষের পাকস্থলী নিঃসৃত বর্জ্যও চোখে পড়ে। তাই, কোনো কোনো দিন শুধু হাত-পা ধোয়ামোছা করে ভেজা গামছা দিয়ে শরীর পরিষ্কার করে ফিরে আসি।

তখন কাঁচপুর যাত্রাবাড়ী বিশ্বরোডের নির্মাণকাজ চলছিল। আমাদের এলাকার এক লোক দনিয়ায় জমি কিনে দখল ঠিক রাখতে একচালা ছাপড়া ঘর তুলে পরিচিত ভাড়াটিয়া খুঁজছিলেন। নামমাত্র ভাড়া। চার দিকে বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া। লম্বা ছাপড়ার মাঝে মধ্যে পার্টিশন তুলে ছোট ছোট খোপ। কুলি-কামিন, রিকশা-ভ্যানচালক ও রাস্তায় পিঠা বিক্রেতার মতো নিম্ন রোজগারের মানুষ ভাড়া থাকে। ঢাকা কোর্টে আমাদের গাঁয়ের আরো দু’জন কাজ করত, একজন টাইপিস্ট আরেকজন উমেদার। পেশা যা-ই হোক, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, কোর্টম্যারেজ থেকে শুরু করে মার্ডার কেস পর্যন্ত সব কাজই করত তারা। আমরা তিনজন মিলে এক খোপ ভাড়া নিলাম।

এক পাশে গর্ত করে চাকার উপর চাকা বসিয়ে সারা বাড়িতে একটি মাত্র পায়খানা। যত ভোরেই ঘুম থেকে উঠি না কেন, নারী-পুরুষের সারি দেখতে পাই। অনেকসময় ভেতরের লোকজনের পায়খানা খালাস হওয়ার আগেই বাইরে লাইনের লোকজন হাঁচি-কাশির শব্দে রেড অ্যালার্ট দিতে শুরু করে। যতক্ষণ বাসায় থাকি ততক্ষণ এসব নিয়ে নারী-পুরুষের ঝগড়া বিবাদ চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ কানে আসতেই থাকে।

জানালা, পাখাবিহীন এক দরজাবিশিষ্ট রুদ্ধ ঘরের চৌকিতে পাশাপাশি তিনজন ঘুমোতে শুরু করলেই ছারপোকা ও মশা দল বেঁধে আসতে শুরু করে। টিউবওয়েলে গোসল করতে গেলেও লাইন। লাইন এড়াতে আমরা চলে যেতাম বিশ্বরোডের জলাশয়ে। বিশ্বরোডের উত্তর পাশে এখন যেখানে মজা ডোবা, ঝোপজঙ্গল, বাড়িঘর, সেখানে ছিল জলাশয় যেন কাকচক্ষু টলটলে পানি। সেখানে গিয়ে মনের মতো সাঁতার কেটে গোসল করতাম। একসাথে বহুলোক গোসল করতে নেমে মনে হতো, গ্রামের বাড়ির খাল-নদীতে ডুবসাঁতার কাটছি।

আমরা তিনজন কোর্ট-কাচারির লোক হলেও পেশা আলাদা আলাদা। আমাদের মধ্যে মল্লিকের রোজগার ভালো ছিল। সে চাইত খাবারের মান আরো একটু ভালো করে সপ্তাহে দুই-তিন দিন গোশত যোগ করতে। আমরা চাইতাম খাবার তালিকা থেকে গোশত আরো কমিয়ে আনতে। মাস দুয়েক থাকার পর দনিয়ার বাসা ছেড়ে দিই। শুধু গোসল করার আনন্দটুকু ছাড়া আর কোনো সুবিধাই ছিল না।

বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়ার সময় ভাবতাম, আইন পেশা নয়, অধ্যাপক হবো, বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক। এ নিয়ে মতভেদ ছিল সালমার (স্ত্রী) সাথে। অধ্যাপক না আইনজীবী? দু’জনের মধ্যে টসও হয়েছে। সালমা বরাবরই আইনজীবী হওয়ার পক্ষে। অধ্যাপনা পেশা প্রতিষ্ঠার জন্য খোঁজখবর নিতে গিয়ে জানতে পেরেছি, সনাতন পদ্ধতির এমএ উত্তীর্ণ সার্টিফিকেট দিয়ে ভিজিটিং কার্ডের শোভাবর্ধন করা যায়, অধ্যাপনা করা যায় না। অধ্যাপনা করতে হলে সম্মানসহ এমএ উত্তীর্ণ হতে হয়। ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, বহাল থাকে সালমার ইচ্ছাই।

ঢাকা কোর্টে আমার নিজস্ব মামলা-মোকদ্দমা ছিল না বললেই চলে। সর্বদা মুহুরি ও তদবিরকারকদের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। তাদের কয়েকটা গ্রুপ থানা থেকে কোর্টহাজত পর্যন্ত আসামি ধরার জাল বিছিয়ে রাখত। কোন মামলা কী ধরনের উকিল দিয়ে করাতে হবে, এ ব্যাপারে তারা ছিল সিদ্ধহস্ত। এ কারণে আমার মতো অনেক আইনজীবী তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখত।

সকালে এসে কাজকর্ম আছে কি না, তাদের কাছে জানতে চাইতাম। এদের মধ্যে হাবিব, ওয়াদুদ, মোসলেম, স্বপন, মুরাদ ও কাদিরের সাথে পরিচয় ছিল। শুদ্ধ বাংলায় সুন্দর করে কথা বলতে পারতাম। তাই, তাদের মধ্যে ছোটখাটো মামলা থাকলে বেলা ১টার দিকে আমার হাতে কাগজপত্র ধরিয়ে দিত। সংশ্লিষ্ট আদালতে গিয়ে মুভ করতাম। জামিন মঞ্জুর হলে তদবিরকারকদের খুঁজে বের করতাম। ওরা নানা কথা বলে পার্টির কাছ থেকে টাকা আদায় করত। টাকা আদায়ে আমিও সাহায্য করতাম। জামিননামায় স্বাক্ষর নেয়ার সময় শ’-পঞ্চাশ টাকা আমার পকেটে পুরে দিত। কত টাকা থেকে ৫০ টাকা দিত, সেটি জানার চেষ্টাও করতাম না।

সামনেই ঈদুল ফিতর। এরকম পঞ্চাশ পঞ্চাশ করে হাজার টাকা জমিয়েছি। টাকার দোকান থেকে অদলবদল করে নিয়েছি নতুন নোট। ৫০০ টাকার নতুন দু’টি নোট কোটের ব্যাক পকেটে রেখে রওয়ানা হয়েছি বাড়িতে। স্থানীয় হাট থেকে সবার ঈদের জামা-কাপড় এই টাকায়ই হয়ে যাবে।

গুলিস্তান বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখি, মানুষ আর মানুষ। মানুষ বেশি দেখে ভাড়া দ্বিগুণ দাবি করছে বাস কন্ডাক্টর। এ নিয়ে দুই পক্ষই উত্তেজিত। টিকিট না কেটে যাতে কেউ বাসে উঠতে না পারে এ উদ্দেশ্যে কন্ডাক্টর বাসের গেট শক্তভাবে হাত দিয়ে আটকে রেখেছে। যারা দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে পারে, শুধু তাদের বাসে তোলা হচ্ছে। আমি দ্বিগুণ ভাড়া গুনেই বাসে উঠে ড্রাইভারের পেছনের সিটে বসি। পকেটে টাকা থাকলে কিছুক্ষণ পরপর আপনা-আপনি টাকার কাছে হাত চলে যাওয়া আমার অভ্যাস। বাস যাত্রাবাড়ীর কাছে পৌঁছতেই আমার হাত চলে যায় টাকার কাছে। কোটের ব্যাক পকেটে হাত যেতেই টাকার অস্তিত্ব টের না পেয়ে চমকে উঠি। ব্যাক পকেট ছাড়াও কোটের যে কয়টা পকেট রয়েছে বারবার তল্লাশি করি। তল্লাশি করেও টাকা পাওয়া গেল না। মনে পড়ছে, বাসে ওঠার সময় গেট আটকে রাখা কন্ডাক্টরের হাতের চাপ লেগে বুকের দিকে কোটের ব্যাক পকেটটা আলগা হয়েছিল। টাকাটা কোটের কোনো পকেটেই নেই নিশ্চিত হওয়ার পর এই শীতের মাঝেও শরীর থেকে ঘাম বের হতে শুরু করে। (‘বিচারের বাণী’ পৃষ্ঠা ৪৮ থেকে ৫৪ সংক্ষিপ্ত)

লেখক : আইনজীবী ও কথাসাহিত্যিক
E-mail : adv.zainulabedin@gmail.com