মার্কিন নাগরিক বা গ্রিন কার্ডধারীকে বিয়ে করে সেদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে চান? বাইডেন আমলে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ছিল অনেক সহজ।
বর্তমান ১৭ এপ্রিল ২০২৫ , ৫:৪৩:৩৪
ইন্টারভিউয়ে বদল, কঠিন হচ্ছে গ্রিন কার্ড পাওয়ার প্রক্রিয়া
ওয়াশিংটন: মার্কিন নাগরিক বা গ্রিন কার্ডধারীকে বিয়ে করে সেদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে চান? বাইডেন আমলে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ছিল অনেক সহজ। তবে দ্বিতীয় ট্রাম্প সরকারের আমলে তেমনটা আর থাকছে না। ক্ষমতায় আসার পরেই কড়া অভিবাসন নীতি চালু করেছে হোয়াইট হাউস। যার জেরে আরও কঠিন হয়েছে ইন্টারভিউ। শুধুমাত্র পরিচয় সংক্রান্ত নথি নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ঘুমের অভ্যাস সহ বৈবাহিক জীবনের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। এবিষয়ে ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি অশ্বীন শর্মা বলেন, ‘আধিকারিকরা সবকিছু খতিয়ে দেখবেন। বিয়ে সংক্রান্ত যাবতীয় প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসনের সময়ে এমনটা হতো না। এভাবে চলতে থাকলে শীঘ্রই এটা সরকারি নীতি হয়ে উঠবে।’ নথিতে কী কী তথ্য থাকবে? তিনি বলেন, ‘যেমন কীভাবে সম্পর্ক শুরু হয়েছিল। বিয়ের পর আয়ের উৎস। দৈনন্দিন খরচ। কিছুই বাদ যাবে না।’ ফলে আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের রাস্তা আরও কঠিন হল।
আমেরিকায় গ্রিন কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে ভালো ইন্টারভিউ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তাহলেই মার্কিন নাগরিকের স্ত্রী বা স্বামী হিসেবে স্থায়ী বসবাসের যোগ্যতা মিলবে। তবে ইন্টারভিউয়ের একাধিক নিয়ম রয়েছে। আবেদনকারী আমেরিকার বাইরে থাকলে ইন্টারভিউ নেবেন মার্কিন কনস্যুলেটের আধিকারিকরা। তবে আমেরিকায় থাকা ব্যক্তিদের (যেমন নন ইমিগ্র্যান্ট এইচ-১বি ভিসাধারী) ক্ষেত্রে নিয়মটা আলাদা। সেক্ষেত্রে যাবতীয় প্রশ্ন করবে ইউনাইটেড স্টেটস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস।
তবে সব ক্ষেত্রেই ইন্টারভিউয়ের পদ্ধতি একই থাকবে। আবেদনকারীর থেকে বৈবাহিক জীবন সংক্রান্ত সবকিছু জানার চেষ্টা করবেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিক। কোনওরকম জালিয়াতির গন্ধ পেলেই আমেরিকা ছেড়ে নিজের দেশে চলে যেতে হবে। এনপিজেড ল গ্রুপের ম্যানেজিং অ্যাটর্নি স্নেহাল বাত্রার কথায়, ‘স্বামী-স্ত্রীর চাকরির ধরন, বেতন, শিক্ষা থেকে শুরু করে বর্তমান সম্পর্ক। সব বিষয়ে তথ্য দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে। বিয়েতে কোনওরকম জালিয়াতি ধরা পড়লেই আর গ্রিন কার্ড দেওয়া হবে না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সোজা নিজের দেশে পাঠিয়ে দিতে পারে প্রশাসন।