তিন বছরের মধ্যে অবসরে যাচ্ছে দেশের ভাড়াভিত্তিক সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নামে পরিচিত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন বড় বড় সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আছে। সামনে আরও উৎপাদনে আসছে।
“এখন আর ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রের দরকার নেই। আমরা প্রয়োজন অনুসারে সেগুলো বন্ধ করে দিতে বলেছি। মন্ত্রণালয়ও তাদের পরিকল্পনার কথা আমাদের জানিয়েছে।”
সংসদীয় কমিটিকে দেওয়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু হলে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো মেয়াদপূর্তিতে অবসরে যাবে।
বর্তমানে এক হাজার ১০৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৬টি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু আছে জানিয়ে এতে বলা হয়, এগুলো ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে অবসরে যাবে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলায় অতি দ্রুত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের তাৎক্ষণিক পরিকল্পনায় তিন বছর, পাঁচ বছর ও ১৬ বছর মেয়াদী ভাড়াভিত্তিক (রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল) বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন শুরু করে।
এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বেড়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হয় বলে সরকারের দাবি। তবে এসব কেন্দ্র থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারকে অনেক টাকায় ভর্তুকি দিতে হওয়ায় একে জনগণের ‘পকেট টাকা’ বলে সমালোচনাও উঠেছিল।