গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় বক্তারা
ফসলের ১২২৪টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বারির বিজ্ঞানীরা
বারির বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত বিভিন্ন ফসলের ৬২২টি উচ্চফলনশীল (হাইব্রিডসহ), রোগ প্রতিরোধক্ষম ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে চাষোপযোগী জাত এবং ৬০২টি অন্যান্য উৎপাদন প্রযুক্তিসহ এযাবৎ মোট ১ হাজার ২২৪টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন।
এসব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে দেশে তেলবীজ, ডালশস্য, আলু, সবজি, মসলা এবং ফলের উৎপাদন ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) ‘অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা-২০২২’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এসব প্রযুক্তির উপযোগিতা যাচাইবাছাই ও দেশের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কর্মসূচি গ্রহণ করাই এ কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য। গতকাল ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে মাসব্যাপী এ কর্মশালার অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
২০২১-২২ সালে যেসব গবেষণা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছিল সেগুলোর মূল্যায়ন এবং এসব অভিজ্ঞতার আলোকে ২০২২-২৩ সালে গবেষণা কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। কর্মশালায় জানানো হয়, কর্মশালার কারিগরি অধিবেশনগুলো আগামী ১৮ জুলাই-১৪ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বারির বিজ্ঞানীদের গবেষণা কার্যক্রম পরিকল্পনা তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, শুধু ফসল উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, নিরাপদ ও রফতানি উপযোগী ফসল উৎপাদন করতে হবে।