বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে রেন্টাল থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী – Ekush.Info

বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে রেন্টাল থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

চাহিদার কারণে এখন থাকলেও বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে ভাড়াভিত্তিক (রেন্টাল)বিদ্যুৎ কেন্দ্র আর থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপুল ভর্তুকি নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মধ্যে বুধবার সংসদে বক্তব্যে এই বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,“যখন বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হয়ে যাবে, তখন রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রয়োজন হবে না। চাহিদা যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ রাখতে হবে।”

ব্যয়বহুল ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে গত পাঁচ বছরে সরকারের ভর্তুকি গুনতে হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এসময়ে পাইকারি ও খুচরা মিলিয়ে ১২ দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে সরাসরি গ্রাহক পর্যায়ে।

দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা এখন প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট। আর মোট উৎপাদনের ২০ শতাংশ আসছে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে। কিন্তু সেজন্য যে টাকা লাগছে তা বিদ্যুৎ উৎপাদনে মোট খরচের প্রায় অর্ধেক।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে কথা বলেন। তবে এনিয়ে সমালোচনা হওয়ায় উষ্মাও প্রকাশ করেন তিনি।

“রেন্টাল, কুইক রেন্টাল নিয়ে এত কথা। বললে, আমি আজকেই বন্ধ করে দেব।”

২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠনের পর বিদ্যুত সঙ্কট দ্রুত কাটিয়ে উঠতে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে সরকার মনোযোগী হয় বলে জানান হাসিনা।

“কুইক রেন্টাল কাজে লাগছে। লোডশেডিং কমে গেছে। অনেকে সুখ পেলে দুঃখের দিন ভুলে যায়।”

গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক ১৩টি বিদ্যুত কেন্দ্রের অনুমতি দেয়া হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর অনুমতি পায় আরো ২০টি কেন্দ্র।

ভর্তুকি নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লোডশেডিং হলে আবাসিক এলাকায় জনগণ তেলভিত্তিক জেনারেটরের বিদ্যুৎ ক্রয়ে যে দাম দেয়, তার মূল্য পড়ে ইউনিট প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।

“রেন্টাল, কুইক রেন্টালে এখনো তার চেয়ে খরচ কম।”

“কিছু মানুষ আছে- সমস্যা হলে সমালোচনা করবে। তারপর, সমাধান করা হলেও তা নিয়েও কথা বলবে। এসি রুমে বসে সমালোচনা করবে।”

“কালকেই বন্ধ করে দেই (ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র)? তা হলে অবস্থা কী হবে? সমস্যার সমাধান করলেই প্রশ্ন হয়। জিইয়ে রাখলে কোনো কথা হয় না।”

সমালোচকদের ব্যক্তিগত স্বার্থের দিকে ইঙ্গিত করে হাসিনা বলেন, “রেন্টাল, কুইক রেন্টাল নিয়ে কেন এত কথা? হয়ত ব্যবসা চেয়েছিল, পায় নাই। এজন্য, এত কথা।”