ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল, ২০২৩: অপরাধের বিচার – Ekush.Info

১৯। অপরাধের বিচার
(১) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ, আমালযোগ্য (cognizable), ধারা ৪ ও ৫ এ বর্ণিত অপরাধ অ-জামিনযোগ্য (non-bailable), অন্যান্য ধারায় বর্ণিত অপরাধ জামিনযোগ্য এবং আপোষযোগ্য (compoundable) হইবে।

(২) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণির
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে।

(৩) এই আইনের অধীন অপরাধের বিচার মামলা প্রাপ্তির তারিখ হইতে ১৮০ (একশত আশি)দিনের মধ্যে সমাপ্ত করিতে হইবে।

(৪) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন অপরাধের বিচার ও আপিলের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।

২০। ক্ষতিপূরণ ও প্রতিকার

(১) এই আইনে বর্ণিত অপরাধের বিচারকালে যদি কোনো ফৌজদারি আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে উপযুক্ত ব্যক্তির অনুকূলে দখল অর্পণ করা আবশ্যক, তাহার হইলে আদালত তউদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবে।

(২) এই আইনে বর্ণিত অপরাধের বিচারকারী ফৌজদারি আদালতের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, সংঘটিত অপরাধের ফলশ্রুতিতে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে, তাহা হইলে উক্ত আদালত অপরাধীর নিকট হইতে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করিয়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা সংস্থাকে প্রদানের আদেশ প্রদান করিতে ও এতদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

২১। সাক্ষীর সুরক্ষা

ফৌজদারি আদালত সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিত্তে বা স্থীয় বিবেচনায় বিচারাধীন মামলার বাদী বা কোনো সাক্ষীকে নিরাপত্তা বা সুরক্ষা প্রদানে প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদান ও ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

২২। মোবাইল কোর্ট কর্তৃক বিচার্য

এই আইনের ধারা ৪, ৫ ও ১৫ এ বর্ণিত অপরাধ ব্যতীত অন্যান্য অপরাধসমূহ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তফসিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট কর্তৃক বিচার্য হইবে।

২৩। ভূমির তথ্য সম্বলিত সমন্বিত ডাটাবেজ প্রস্তুতকরণ।

(১) সরকার, সরকারি স্বার্থযুক্ত, দেওয়ানি মোকদ্দমাভুক্ত, ফৌজদারি মামলা ও সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ বা দায়বদ্ধ জমির তথ্য এবং ভূমি হস্তান্তর, নিবন্ধন, জরিপ, রেজিস্ট্রেশন ও রেকর্ড হালনাগাদকরণ সংক্রান্ত তথ্য প্রাপ্তি ও যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে আন্তঃব্যবহারযোগ্য সমন্বিত ডাটাবেজ প্রস্তুত করিবে।

(২) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষসমূহ উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।

২৪। সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা

(১) এই আইনের অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের চাহিদা মোতাবেক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সংবিধিবদ্ধ সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করিবে।

(২) কর্তৃপক্ষ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনবোধে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,
এজেন্সি বা কারিগরি জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তিকে এক বা একাধিক দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য নিয়োগ করিতে পারিবে।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিয়োগের উদ্দেশ্যে আবশ্যকীয় খরচের পরিমাণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হইবে, যাতা প্রতিকার প্রার্থী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থা অথবা প্রয়োজ্য ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদেয় হইবে।

২৫। অস্পষ্টতা দূরীকরণ

এই আইনের কোনো বিধানের অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, আইনের অন্যান্য বিধানের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থ আদেশ দ্বারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

২৬। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, তবে বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার আদেশ দ্বারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

২৭। ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞান দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ করিবে।
(২) বাংলা পাঠ ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে, বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।