এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) নীতির আওতায় বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধা পায়—কিন্তু বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের এ সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট আজ একটি রেজ্যুলেশন পাস করেছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সাতটি পার্লামেন্টারি গ্রুপের আনা এই রেজুলেশনটি গৃহীত হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জন্য এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) সুবিধা আরও সম্প্রসারিত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এমন অবস্থায় অধিকার-এর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি দুঃখজনকভাবে একটি পশ্চাদগামী পদক্ষেপ বলে নিন্দা জানান ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা (এমইপি)। সেইসঙ্গে একে আন্তর্জাতিক চুক্তিসমূহের ‘গুরুতর লঙ্ঘন’ বলেও উল্লেখ করেন তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জন্য ইবিএ সুবিধা অব্যাহত রাখা উচিত কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যরা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে সরকারের প্রতি এনজিও, মানবাধিকার সংগঠন ও কর্মী, এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন তারা [ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যরা]।’
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশকে অবশ্যই তাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার, বিশেষ করে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো মেনে চলতে হবে। সুশীল সমাজের সংগঠনগুলো যেন বিদেশি অনুদান গ্রহণ করতে পারে, তা-ও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন ইইউ পার্লামেন্টের সদস্যরা।
ইইউ পার্লামেন্টের সদস্যরা বিশেষভাবে অধিকার-এর দুই নেতা আদিলুর রহমান খান ও এএসএম নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের রায়ের নিন্দা জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে এই রায় বাতিল করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।