বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের মধ্যে দেশকে সংকটমুক্ত রাখতে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে নানা নির্দেশনা ইতোমধ্যে পালন শুরু হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (২৫ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদের সবাইকে খরচ কমানোর নির্দেশনা দেন তিনি। এমনকি গাড়ির তেল খরচ করে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের ছোটাছুটি না করে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত সাময়িকী নিউজউইকে’র সর্বশেষ সংস্করণে বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্থনৈতিক ও দারিদ্র্য দূরীকরণের সাফল্য নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রাজ্ঞ ও শক্তিশালী নেতৃত্ব দিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন।
সোমবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আবারও নতুন কিছু নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। তিনি কম গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এখনই না কেনার নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি টাকায় বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখারও নির্দেশনা দেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশনা দেন।
এর আগে শনিবার (২৩ জুলাই) জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন এবং বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই সরকার জ্বালানি সাশ্রয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এতে বিরোধীদল সমালোচনা করলেও হতাশ হওয়া যাবে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমেরিকা রাশিয়ার ওপর ডলার আদান-প্রদানে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এতে শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক উন্নত দেশও ভুক্তভোগী বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই একটা সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের সার কেনা, খাদ্য কেনা অথবা জ্বালানি তেল কেনা, সবক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু আমরা না, সারাবিশ্বই একটা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছে; এটা হলো বাস্তবতা।
সুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন