হজে গিয়ে ভিক্ষা, বাংলাদেশি গ্রেপ্তার – Ekush.Info

মো. মতিয়ার রহমান নামের ওই ব্যক্তির বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায়। ২২ জুন মদিনায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর বাংলাদেশ হজ মিশনের কর্মীরা থানায় মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন।

মতিয়ার সৌদি আরবে যান ধানসিঁড়ি ট্র্যাভেল এয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে। গত ২৫ জুন ওই এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন।

এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও ‘শোনেননি’ জানিয়ে সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এজেন্সি এখনও কোনো জাবাব দেয়নি। অপেক্ষা করে কঠিন অ্যাকশন নেওয়া হবে।”

ধানসিঁড়ি ট্র্যাভেলকে পাঠানো নোটিসে বলা হয়, “আপনার এজেন্সির একজন হজযাত্রী মো. মতিয়ার রহমান মদিনা শরীফে ভিক্ষা করতে গিয়ে সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় এবং এ ঘটনা জানার পর বাংলাদেশ হজ মিশনের একজন কর্মী থানায় মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন।”

সেখানে বলা হয়, “উক্ত হাজী ব্যাগ ছিনতাই হওয়ার নাটক করে ভিক্ষাবৃত্তির কারণে গ্রেপ্তার হওয়ায় মদিনা তথা সৌদিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এরূপ কার্যক্রমের কারণে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হয়েছে এবং সরকারের হজ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা উপেক্ষিত হয়েছে, যা হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইনের পরিপন্থি।”

ওই হজযাত্রীকে ‘গাইড করার মত কোনো মোয়াল্লেম এবং বসবাসের বাড়ি বা হোটেলও ছিল না’ বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনায় ধানসিঁড়ি এজেন্সির বিরুদ্ধে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইনের ১৩ ধারা অনুয়ায়ী কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তিন দিনের মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয় নোটিসে।  

ধানসিঁড়ি ট্র্যাভেলসের মালিকের নাম মো. আল মামুন। মন্ত্রণালয়ের নোটিস বা সৌদি আরবের ঘটার বিষয়ে তার বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।