চলে গেলেন অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। তাকে দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

ইয়ুথ বাংলার সভাপতি ও শর্মিলী আহমেদের ঘনিষ্ঠজন মোনা চৌধুরী জানান, শর্মিলী আহমদ অনেকদিন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।

বনানীতে স্বামীর কবরে শর্মিলী আহমেদকে সমাহিত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তার বোন ওয়াহিদা মল্লিক জলি।

ক্যারিয়ারের শুরুতে শর্মিলী আহমেদ ছিলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। পরবর্তীতে ছোট পর্দার মা, দাদি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মনে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছিলেন।

১৯৪৭ সালে জন্ম নেয়া এ জনপ্রিয় অভিনেত্রী অভিনয় শুরু করেন মাত্র চার বছর বয়স থেকে। এখন পর্যন্ত প্রায় চারশ নাটক ও দেড়শ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয় জীবনে মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সবার মন জয় করেছেন সাবলীল অভিনয় দিয়ে।

১৯৬৪ সালে তিনি তার অভিনয় পেশা শুরু করেন। বেতারের মাধ্যমেই ক্যারিয়ারের সূচনা ঘটেছিল তার। তিনি বাংলাদেশের প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘দম্পতি’-তে অভিনয় করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তার প্রকৃত নাম মাজেদা মল্লিক। ১৯৮৭ সালের ৮ মে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র চার বছর বয়সে তিনি অভিনয়জীবন শুরু করেন। রাজশাহী বেতারের শিল্পী ছিলেন তিনি। ষাটের দশকে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু শর্মিলীর। ষাটের দশকে নায়িকা হিসেবে তিনি নাম কামিয়েছেন সুভাষ দত্তের ‘আলিঙ্গন’, ‘আয়না ও অবশিষ্ট’, ‘আবির্ভাব’ সিনেমায়। কিছু উর্দু সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন তিনি। এরপর ৪ শতাধিক নাটক ও ১৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন শর্মিলী আহমেদ।

স্বামী পরিচালক রূপকারের (রকিবউদ্দিন আহমেদ) ‘পলাতক’ সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন শর্মিলী আহমেদ। স্বাধীনতার পরে ‘রূপালী সৈকতে’, ‘আগুন’, ‘দহন’ প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৭৬ সালে মোহাম্মদ মহসিন পরিচালিত ‘আগুন’ সিনেমায় মায়ের ভূমিকায় প্রথম অভিনয় করেন তিনি।