আইনজীবীর সম্মানী ও বিচারকের সম্মান

-জয়নুল আবেদীন

(১ম পর্ব)
এক আইনজীবীর ‘১২ কোটি টাকা ফি’ (৬ জুলাই প্রথম আলো), ‘উপমহাদেশে এমন কোনো আইনজীবী হয়নি যার ফি ১২ কোটি টাকা হবে’ (বিজ্ঞ বিচারক)। এসব নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড়। সুরসিক লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী। সৈয়দ মুজতবা আলী ‘পাদটীকা’ শিরোনামে ব্রিটিশ আমলের শিক্ষকদের বেতন প্রসঙ্গে একটি রম্যগল্প লিখেছিলেন। আসামের ইংরেজ লাট সাহেব তার তিন ঠ্যাঙওয়ালা কুকুর নিয়ে স্কুল পরিদর্শনে আসেন। স্কুলের পণ্ডিত মশাই সচরাচর পৈতা পরে খালি গায়ে ক্লাস করেন। পরিদর্শনের দিন অনেক কষ্টে গেঞ্জি পরায় অস্বস্তি বোধ করছিলেন। পণ্ডিত মশাইয়ের পরিবারে ‘ব্রাহ্মণী, বৃদ্ধ মাতা, তিন কন্যা, বিধবা পিসি, দাসীসহ আট সদস্য। মাসিক বেতন ২৫ টাকা। লাট সাহেব চলে যাওয়ার পর পণ্ডিত মশাই শিক্ষার্থীদের এ মর্মে অঙ্ক কষতে দিয়েছিলেন, ‘তিন পাওয়ালা কুকুরের পেছনে লাট সাহেবের মাসিক ব্যয় ৭৫ টাকা। ব্রাহ্মণ পরিবারের আট সদস্য কুকুরের কয় পায়ের সমান।’

এরশাদ শিকদারের ফাঁসির রায় দিয়েছিলেন যে বিচারক তিনি অবসরে গিয়ে এখন আইন ব্যবসা করেন। আইন ব্যবসাসহ যখন একটি হাউজিং কোম্পানির আইন উপদেষ্টা তখন আমিও একই প্রতিষ্ঠানের আইন উপদেষ্টা। অবসরপ্রাপ্ত জজ সাহের আমাদের কাছে প্রায়ই মামলা চাইতেন। বিজ্ঞ জজ সাহেবরা অবসরকালে মামলার জন্য কেন আইনজীবীদের কাছে ধরনা দিতেন, তখন বুঝতে না পারলেও, এখন বুঝতে পারি। ‘বিচারকদের বেতন বৃদ্ধির পর জেলা জজ ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তা যাদের বেতন স্কেল ৩৬ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৩৯ হাজার ৬০০ টাকা ছিল, তাদের ৭০ হাজার ৯২৫ টাকা থেকে ৭৬ হাজার ৩৫০ টাকা করা হয়েছে। সাকুল্যে প্রতি মাসে এক লাখ টাকা (অনুমান) ধরা হলেও বছরে প্রাপ্ত টাকার পরিমাণ ১২ লাখ। ১২ কোটি টাকায় পৌঁছাতে ১০০ বছর চাকরি করতে হবে।

আমার আইন পেশা শুরু ঢাকা কোর্টে। এর আগে দৈনিক আজাদ পত্রিকার মফস্বল সাংবাদিকতাসহ করতাম শিক্ষকতা। ঢাকা কোর্ট থেকে উপজেলা হয়ে বর্তমান জেলা কোর্ট নারায়ণগঞ্জে। সাত ঘাটের পানি খেয়ে চিনেছি, বিচারক, পুলিশ, ডাক্তার, মোকদ্দমার পক্ষ, উকিল, মুহুরি ও তদবিরকারী। ইত্যাদি বারো রকমের মানুষ নিয়ে আদালতপাড়া। এ বারো রকমের মানুষকে খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। খুব কাছে থেকে দেখেছি মানুষের সঙ্কীর্ণতা ও গভীরতা। সীমাহীন সঙ্কীর্ণতায় কষ্ট পেয়েছি, ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে হৃদয়। আবার গভীরতা ও মহত্ত্ব মহিমায় মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থেকেছি কারো কারো দিকে। বিস্ময়াভিভূত হয়ে ভাবতাম- স্রষ্টা কত সঙ্কর উপাদান থেকে সৃষ্টি করেছেন মনুষ্যহৃদয়। রবীন্দ্রনাথের ‘সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি; তারি দু’চারিটি অশ্রুজল’ নিয়ে (১৯৮৫ থেকে ২০০৭ বিচার বিভাগ পৃথক করা পর্যন্ত) ‘বিচারের বাণী’ গ্রন্থ’। আমার আইন পেশা চার দশকের কাছাকাছি। অনেক ঘটনার মধ্যে আইনজীবীর সম্মানী ও বিচারকের সম্মান নিয়েও রয়েছে কয়েকটি ঘটনা।

প্রথম ঘটনা, আমার চেম্বার যখন শিকদার ভিলার দোতলায় তখন অপরিচিত এক বিবাদি আসেন জবাব ও আপত্তি লেখানোর জন্য। কাগজপত্র দেখার পর ফির প্রশ্ন উঠতে সমস্যায় পড়ে যাই। মফস্বল আইনজীবীদের ফির পরিমাণ কমতে কমতে দেয়ালে ঠেকে গেছে। তার পরেও সাহস করে এক লাখ টাকা দাবি করেছিলাম। বিবাদি চলে গিয়েছিল। আর ফেরত আসেনি। ফিরে না আসায় আমার জুনিয়র মেয়েটি,

– স্যার এত বেশি টাকা চাইতে গেলেন কেন? কখনো কখনো আমরা ২৫-৩০ হাজার টাকায়ও জবাব-আপত্তি লিখে থাকি।

– যাদের কাছ থেকে ২৫-৩০ হাজার নিই, তারা সাধারণ পাবলিক। যার কাছে এক লাখ চেয়েছি সে কোম্পানি।

– ভিক্ষুক কোম্পানি। লাখ টাকা শুনে দৌড়।

কয়েক দিন পর ফোন করেন উচ্চ আদালতের বন্ধু, যে বন্ধু মামলাটি পাঠিয়েছিলেন, সে বন্ধু বিস্তারিত শুনে আমাকে ‘বোকা’ বলেন। বন্ধুর ভাষায়, ‘বিবাদি আপনাকে উকিল-ই মনে করে না।’ বিবাদি একটি হাউজিং প্রতিষ্ঠান। তারা জবাব লেখায় ১০- থেকে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে।

দ্বিতীয় ঘটনা, হাউজিং প্রতিষ্ঠানের চিটাগাং শাখার এক কর্মকর্তা টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান। কয়েক দিন পর কোম্পানির কাছে কয়েক লাখ টাকা দাবি করে উকিল নোটিশ পাঠান। নোটিশের আইনজীবী একজন খ্যাতিমান আইনজীবী। আমাদের প্রতিষ্ঠান নোটিশের কড়া জবাব দিতে বলে। আমরা জবাব দিয়েছিলাম অন্য এক বিশিষ্ট আইনজীবীকে দিয়ে। জবাবের ভাষা আমাদের, ওই আইনজীবী দিয়েছিলেন প্যাড আর স্বাক্ষর। প্যাড আর স্বাক্ষরের জন্য তাকে আমরা দিয়েছিলাম এক লাখ টাকার একটি চেক।

এক স্বাক্ষরে এক লক্ষ টাকার পাশাপাশি মনে পড়ে এক টাকায় স্বাক্ষরের আইনজীবীর কথা। আশির দশক, ‘ঢাকা কোর্ট পোস্ট অফিসের উত্তর দিকে পুরান চেয়ারটেবিল পেতে বসতেন জনৈক আইনজীবী। উকিল সাহেবের ষাটোর্ধ্ব বয়সের মতো তার চেয়ারটেবিলের শরীরও ছিল জবুথুবু। টেবিলের বাম দিকে থাকত স্ট্যাম্প-প্যাড ও সিল। হাতের নিচে থাকত হিসাবের একটা পুরনো খাতা।

এফিডেভিট, আমমোক্তারনামা, বিয়ে-ডিভোর্স, বয়স কমানো-বাড়ানো, ওরাল গিফট ও এটাস্টেড ইত্যাদি কাজের জন্য উকিলের সিল-স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। তদবিরকারক ও টাইপিস্টদের কাছে বিভিন্ন রকমের হলফনামার নমুনা ড্রাফট করা থাকে। নমুনা অনুসরণ করে নিজেরা হলফ বানিয়ে ওই অ্যাডভোকেটের সিল-স্বাক্ষর নেন। তিনি নির্দ্বিধায় চোখ বন্ধ করে সিল-স্বাক্ষর বিক্রি করেন। প্রতি সিল-স্বাক্ষরের দাম এক টাকা। অপরিচিত লোকেরা টাকাটা নগদ পরিশোধ করতেন। পরিচিত লোকজন পরিশোধ করতেন বাকিতে। সিল-স্বাক্ষরের পর মোটা লেন্সের চশমা ঠিকঠাক করে খাতার পাতায় খসখস করে দেনাদারের নাম ও টাকার পরিমাণটা লিখে রাখেন।

কাজ শেষে টেবিলের পায়ের সাথে চেয়ারের পায়ে শিকলতালা লাগিয়ে, হিসাবের খাতা হাতে পাওনা আদায়ে বের হন। প্রতিদিনের আয় ১০০ টাকার কাছাকাছি। বিয়ে-শাদীর ধুম পড়লে এ ইনকাম ২০০ ছাড়িয়ে যায়। তার এই সহজসরল ব্যবস্থাটাও ঝক্কিঝামেলাবিহীন ছিল না। বছরের পর বছর টাকা বাকি পড়ে থাকত, সিঁড়ি বেসিঁড়ি স্বাক্ষর বিক্রি করতে গিয়ে আইনের জালে আটকে যেত। তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাও বের হয়েছিল কয়েকবার। কিন্তু কোর্ট এলাকা থেকে এ বয়সের একজন আইনজীবীকে গ্রেফতার করার সাহস দেখাত না পুলিশ (বিচারের বাণী পৃষ্ঠা ৬৭)।

অবাঙালকে বাঙাল বানানোর কাহিনী আরো মজার। ‘একবার চিটাগাং এলাকার এক যুবক এক উপজাতি যুবতীসহ কোর্টে আসেন। গেট দিয়ে ঢুকতে আটকা পড়েন হলফ ব্যবসায়ীর জালে। যুবক-যুবতী কোর্ট ম্যারেজ করবেন। হাজার টাকা দাবি করা হয় কোর্ট ম্যারেজের জন্য। হাজার টাকায় রাজি হয়ে যান তারা।

হলফ ব্যবসায়ী ভাবেন, চাইতে গিয়ে ঠকে গেছেন। মালদার পার্টি। আরো দাবি করা উচিত ছিল। মনে মনে বুদ্ধি আঁটেন, কিভাবে আরো বেশি টাকা আদায় করা যায়। যুবক-যুবতীসহ হাজির হন তার পরিচিত অপর এক হলফ ব্যবসায়ীর কাছে। দু’ব্যবসায়ীর মধ্যে চোখে চোখে কথা হয়ে যায়। দ্বিতীয় ব্যবসায়ী হাজার টাকার খরচের কথা শুনে রেগে যান, বলেন-
-তুই কোর্ট ম্যারেজের কী জানিস? যেহেতু উপজাতি মেয়ে সেহেতু আলাদা কোর্ট ফি দিতে হবে। তার পরেও লাগবে কার্টিজ পেপার, স্ট্যাম্প ডিউটি, উকিলের মাশুল, হাকিমের চার্জ, বিল ভাউচার, ফ্রেস বেইল, লেট ফি ইত্যাদি মিলিয়ে হাজার পাঁচেক টাকা না হলে ম্যারেজই হবে না।

পার্টি বিনা প্রতিবাদে পাঁচ হাজার টাকা দিতে সম্মত হন। আবারো ঠকে গেল দু’ব্যবসায়ী। তারা তো ঠকে যাওয়ার পাত্র নন। ঢাকা কোর্টের হলফ ব্যবসায়ীদের হাত থেকে স্বয়ং দেবতাও রক্ষা পায় না। তারা মাড়াই কলের রস বিক্রেতার মতো, যতক্ষণ রস থাকবে ততক্ষণ দুমড়ে-মুচড়ে পেষণকলের ভেতর ঠেসে ধরে শেষ রসটুকুও বের করে নেয়।

সাকুল্যে পঞ্চান্ন টাকা খরচের কোর্ট ম্যারেজ পাঁচ হাজার টাকায় রাজি হওয়ার পরেও তারা ঠকে গেছেন। কী করা যায়! আবার ফন্দি আঁটতে শুরু করেন। নিয়ে যান এ লাইনের এক উকিলের কাছে। উকিল সাহেব বিস্তারিত শোনার পর গরম হয়ে ওঠেন। দু’হলফকারীকে লক্ষ্য করে বকাবকি আরম্ভ করেন-

– এটা কি বাঙালি মুসলিম বিয়ে পাইছিস রে! ছেলে হলো মুসলিম বাঙাল, আর মেয়ে হলো চাকমা অবাঙাল। জাত, ভাষা ও ধর্ম পরিবর্তন না করে, যে বিয়ে করবে সে জেলে যাবে, যে বিয়ে বসবে সে জেলে যাবে, যে বিয়ে পড়ায় জেলে যাবে সেও, কাবিন রেজিস্ট্রার জেলে যাবে, এমনকি যেসব উকিল মুহুরি এতে সহযোগিতা করবে তারাও রক্ষা পাবে না। পুলিশ খবর পেলে ছুটে আসবে, সবাইকে ধরে নিয়ে যাবে। কোমর বেঁধে পিটুনি দিয়ে ঢুকিয়ে দেবে গারদে। চৌদ্দ বছর সাজা খেটে বের হতে হবে।
– তবে কি কোনো উপায় নেই?
উপায় একটা আছে। উপায় হলো- অবাঙাল মেয়েটিকে বাঙাল বানাতে হবে, চাকমা থেকে করতে হবে মুসলমান। এরপর বিয়ের আয়োজন। এসব করতে লাগবে, শরিয়তের মোল্লা, কাবিনের কাজী, নজরকাড়া নোটারি পাবলিক, সিনিয়র উকিল ও প্রবীণ ম্যাজিস্ট্রেট। সবাইকে একত্রে ডেকে কাজটি করতে হবে। এর পরে কোর্ট ম্যারেজের আয়োজন। আর সময় লাগবে তিন থেকে চার ঘণ্টা। টাকা লাগবে বিশ থেকে বাইশ হাজার।
– আমার কাছে যে বিশ হাজার টাকা হবে না।
– কত হবে?
– আঠারো হাজার টাকা হবে। (ভয়ে ভয়ে উত্তর দেন যুবক)।
– কোনো রকমে করা যাবে। আমাদের পারিশ্রমিকটা কম পড়ে যাবে। তার পরেও করে দেবো। কারণ একজন অমুসলমানকে মুসলমান বানাতে পারলে আল্লাহর কাছে পরকালে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া একজন বাঙালির সংখ্যাও বাড়বে।
পার্টিকে বিদায় করার পর এবার টাকা বণ্টনের পালা। চেম্বার থেকে উকিল সাহেব রাস্তায় নেমে আসেন। হলফ ব্যবসায়ীরাও আসেন পেছনে পেছনে। রিকশা ডেকে রিকশার পাশে দাঁড়িয়ে, প্রথম হলফকারীকে উদ্দেশ করেÑ
– তুই দাবি করছিলি কত?
– এক হাজার টাকা।
– এই নে তোর এক হাজার টাকা।(দ্বিতীয় হলফকারীকে উদ্দেশ করে) আর তুই দাবি করছিলি কত?
– পাঁচ হাজার টাকা।
– এই নে তোর পাঁচ হাজার টাকা। তোদের দুজনকে আরো ২০০ টাকা অতিরিক্ত বকশিস দিলাম। এ ২০০ টাকা দিয়ে পোলাপানের জন্য ভালো দোকান থেকে মিষ্টি কিনে নিয়ে যাস। খালি কামাই করিস না, আত্মারেও কিছু দিস। আর শোন, ভিন্ন ধর্মের পাত্রপাত্রী হলে না বুঝে না শুনে বিয়ে পড়াতে যাবি না, নির্ঘাত হাজত খাটবি। বলে পাশে দাঁড়ানো রিকশায় চড়েন। ইশারা করতে রিকশাওয়ালা প্যাডেলে চাপ মারেন। হলফ ব্যবসায়ী দু’বাঙাল পরস্পর পরস্পরের মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে রয় (বিচারের বাণী পৃষ্ঠা ৬৫)।

প্রাচীন রোমে বাস করত দুই সম্প্রদায়, প্যাট্রিসিয়ান এবং প্লেবিয়ান। এক পক্ষ শোষক আরেক পক্ষ শোষিত। এ নিয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। একসময় দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। প্যাট্রিসিয়ানদের অত্যাচার ও অবিচারের মাত্রা বেড়ে যায়। প্লেবিয়ানরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। সংগ্রাম চলে ২০০ বছর। অচল হয়ে পড়ে রোম। অচল রোম সচল করার জন্য প্যাট্রিসিয়ান এবং প্লেবিয়ানদের মধ্যে যে ১২টি সমঝোতা আইন হয় সে ১২ আইনই ইতিহাসের পাতায় টুয়েল টেবলস নামে খ্যাত। আইন ১২টি হলেও অপরাধ ও সমস্যা ১২ রকমের নয়। বাড়তে থাকে অপরাধ ও সমস্যা- বাড়তে থাকে আইনও। দেখতে দেখতে পৌঁছে যায়, ‘আকাশে যত তারা আইনের তত ধারা’য়।

প্রাচীন রোমের ১২টি আইনকে আকাশের তারার সমপর্যায়ে যারা নিয়ে এসেছেন তাদের বলা হয় জুরিস কনসাল্ট। জুরিস কনসাল্টে বিচারপ্রার্থী ও আসামিদের যারা সাহায্য করতেন তারা পেশাজীবী। সেই পেশাজীবী থেকেই আইনজীবী। মামলা পরিচালনা করতে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে কত টাকা সম্মানি দিতে হবে, তার নির্দিষ্ট কোনো বিধান নেই। আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন পেশার সম্মানী আইনজীবীদের মধ্যে কেউ কেউ যেভাবে পারছেন সেভাবেই আদায় করছেন। সীমালঙ্ঘনও করছেন কেউ কেউ। সীমালঙ্ঘন সমাজ, ধর্ম, দর্শন ও আইন সমর্থন করে না- সহ্য করে না আল্লাহও। ‘… আর, আমি কোনো জনপদকে কখনো ধ্বংস করি না যতক্ষণ পর্যন্ত না তার অধিবাসীরা সীমালঙ্ঘন করে (সূরা কাসাস আয়াত ৫৯)।

দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

লেখক : আইনজীবী ও কথাসাহিত্যিক
E-mail : adv.zainulabedin@gmail.com