ঈদের লম্বা ছুটিতে সবারই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাবার পরিকল্পনা থাকে। কারো ভালো লাগে পাহাড় আবার কারো সমুদ্র। তবে ঘুরে বেড়াতে আমরা সবাই কমবেশি পছন্দ করি। আর ঈদের লম্বা ছুটিতে সেই ঘুরে বেড়ানোর সুযোগটা কেউই হাতছাড়া করতে চায় না। সময় সুযোগ আর অবস্থা হিসেবে যে কেউ বেছে নিতে পারে তার পছন্দের বেড়ানোর জায়গা। তা হতে পারে দেশের ভিতরে বা দেশের বাইরে। আমাদের আজকের আয়োজন জানাবো ঈদে কোথায় বেড়াতে পারেন সেইসব জায়গা সম্পর্কে।

ঢাকার ভিতরে বিনোদনের কিছু স্থান

আজকাল থিম ভিত্তিক পার্কে সবাই ঘুরতে পছন্দ করে। আর ঢাকার ভিতরেই শিশু ও বড়দের বিনোদনের জন্য বেশ কিছু পার্ক রয়েছে। ছোট শিশুদের নিয়ে যেতে পারেন শাহবাগের শিশুপার্ক, শ্যামলীর শিশুমেলা, স্বামীবাগের ওয়ান্ডারল্যান্ড, জাতীয় চিড়িয়াখানা বা বসুন্ধরা সিটির টগি ওয়াল্ডে। আর বড়দের জন্য রয়েছে এমিউজমেন্ট পার্ক যেমন যমুনা ফিউচার পার্ক, আশুলিয়ায় নন্দন পার্ক ও ফ্যান্টা‌সি কিংডম। এছাড়াও যেতে পারেন নভো থিয়েটার, সিনেপ্লেক্সে বা সংসদ ভবনে। যারা প্রকৃতির কাছে যেতে পছন্দ করেন তারা যেতে পারেন বলধা গার্ডেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চন্দ্রিমা উদ্দ্যান।

শহর ও তার আশেপাশে

যান্ত্রিকতার বেড়াজাল পেরিয়ে এই ঈদে শহরের ভিতর বা একটু দূরে ঘুরে আসতে পারেন বেশ কিছু জায়গা থেকে। যেমন-

হাতিরঝিল – রাজধানির হাতিরঝিলে ঘুরে আসতে পারেন সবাইকে নিয়ে। নতুন চালু হওয়া ওয়াটার বোটে যে কারো ঘুরতে ভালো লাগবে।

সাগুফতা, মিরপুর – মিরপুর ডিওএইচএস এর দিকে নতুন রাস্তার পাশের একটু ফাকা জায়গা, গাছ গাছালি দিয়ে ঘেরা নিরিবিলি বসার জায়গা। রয়েছে ছোট একটা ঝিল। এটাই সাগুফতা নামে পরিচিত। ফাকা জায়গায় বসেছে নগরদলা, বেলুন ও খেলনার নানা দোকান। দু কদম পেরুলে ঘোড়ার পিঠেও উঠে বেড়ানোর সুযোগ আছে।

প্রকৃতি ঘেরা জাহাঙ্গীরনগর, সাভার – শহর থেকে একটু দূরে সাভারে ছায়া সুনিবির পরিবেশ ও পাখির কলতানে গড়ে উঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটির দিনে অনেকেই ঘুরতে যায়।

নুহাশ পল্লী, গাজীপুর – সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ এর ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ঢাকার গাজীপুরে নুহাশ পল্লী গড়ে উঠেছে। এর পুরোটা জুড়ে সবুজের সমাহার। রয়েছে সুইমিং পুল, ছোট্ট পুকুর আর সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল মাঠের মাঝখানে গাছের উপর ঘর যা অবাক করবে নিঃসন্দেহে।

গাজীপুর সাফারি পার্ক – এই পার্কের অন্যতম আকর্ষণ হল ‘কোর সাফারি’। এখানে দেখা মিলবে উন্মুক্ত বাঘ, সিংহ, জিরাফ, জেব্রা, চিত্রা ও মায়া হরিন, ভাল্লুকসহ অন্যান্য অনেক প্রানি।

ঐতিহাসিক স্থান

ছুটির দিনে পুরনো ইতিহাসের খোঁজে পরিবার নিয়ে যেতে পারেন বিখ্যাত ঐতিহাসিক সব জায়গাতে। ভ্রমণ যেমন হবে তেমনি ইতিহাসের ছোঁয়াও পাওয়া যাবে এই জায়গা গুলোতে।

সোনারগাঁও এবং বাংলার তাজমহল, নারায়ণগঞ্জ – নারায়ঙ্গঞ্জের কাছেঅবস্থিত বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁও । এখানে দেখতে পাবেন লোকশিল্প জাদুঘর, কারু শিল্প মেলা ও পানাম নগরি। সোনারগাঁও থেকে একটু দূরে রয়েছে বাংলার তাজমহল। তাই সময় থাকলে এটাও ঘুরে আসতে পারেন।

আহসান মঞ্জিল, ঢাকা – ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। আহসান মঞ্জিলের স্থাপত্যশৈলী পর্যটকদের নিঃসন্দেহে আকর্ষণ করবে।

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি, মানিকগঞ্জ – বাংলাদেশের পুরাতন জমিদার বাড়িগুলোর মধ্যে অন্যতম বালিয়াটি জমিদার বাড়ি। ঢাকা জেলা থেকে ৩৫ কিলো দূরে সাটুরিয়া উপজেলায় অবস্থিত। মনোরম পরিবেশে ঘেরা জমিদার বাড়িতে ৭টি স্থাপনা রয়েছে।

শালবন বৌদ্ধ বিহার, কুমিল্লা – বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার এক অনন্য নিদর্শন হল শালবন বৌদ্ধ বিহার। কুমিল্লা জেলার লালমাই-ময়নামতিতে অবস্থিত।

লাল বাগ কেল্লা, ঢাকা – পুরান ঢাকার লালবাগে অবস্থিত ঢাকার কেন্দ্র স্থলে বাংলার প্রাচীন দুর্গ। ইতিহাস প্রেমীদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান লালবাগ কেল্লা।

মহেরা জমিদার বাড়ি , টাঙ্গাইল – জমিদার বাড়ীর ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার সাথে সাথে এখানে আছে পিকনিক স্পট ও মিনি চিড়িয়াখানা।

রিসোর্ট

যারা এক দুই দিনের জন্য শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করতে যেতে পারেন মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠা রিসোর্টগুলোতে। কোন রিসোর্টে আছে গ্রামীণ আবহ আবার কোনটাতে আধুনিকার ছাপ। রিসোর্ট গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো – ভাওয়াল রিসোর্ট, সারাহ রিসোর্ট, ছুটি, নক্ষত্র বাড়ি, পদ্মা রিসোর্ট, প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট, দুসাই রিসোর্ট, গ্রান্ড সুলতান রিসোর্ট, জল জঙ্গলের কাব্য এর মতো আরও কিছু রিসোর্ট।

শহর ছাড়িয়ে অন্য শহরে

যারা একটু ঢাকার বাইরে যেতে চান বৈচিত্র্যের জন্য তারা বেছে নিতে পারেন চট্টগ্রাম, সিলেট আর খুলনার মতো বিভাগীয় শহরগুলো।

চট্টগ্রাম – প্রথমেই বলি বন্দরনগরী চট্টগামের কথা। চট্টগ্রামে রয়েছে ফয়েজ লেক, সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক, কালুর ঘাট মিনি বাংলাদেশ, পতেঙ্গা সৈকত, ওয়ার সিমেট্রি, ভাটিয়ারী ও মিরসরাই মহামায়া লেক।

বান্দরবান – যাদের মেঘ ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছে তারা ঘুরে আসতে পারেন পাহাড়ি কন্যা বান্দরবান জেলা থেকে। নীলগিরি, স্বর্ণমন্দির, মেঘলা, শৈল প্রপাতের মতো আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে এখানে।বান্দরবান শহরে থাকার মতো রয়েছে অনেক হোটেল।

খাগড়াছড়ি – অপরূপ সুন্দর জেলা খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ির আকর্ষণীয় স্থান গুলোর মধ্যে – আলুটিলা গুহা ও ঝর্না, রিছাং ঝর্না, পানছড়ি অরণ্য কুঠির, মানিকছড়ি মং রাজবাড়ি, রামগর লেক ও চা বাগান বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।

রাঙ্গামাটি – বাংলাদেশের পর্যটনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা হল রাঙ্গামাটি। রাঙ্গামাটি জেলার জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো; কাপ্তাই হ্রদ, ঝর্না, সাজেক ভ্যালী, কাপ্তাই বাধ, পেদা টিং টিং রেস্তোরা, ঝুলন্ত সেতু, বৌদ্ধবিহার সহ আর অনেক কিছু আছে দেখার।

কক্সবাজার – সাগরের কাছে যেতে চাইলে নিঃসন্দেহে যেতে পারেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। এছাড়াও যেতে পারেন হিমছড়ি, ইনানী, রামু, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া এর মতো জায়গায়।

সিলেট – দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ বলা হয় সিলেটকে। এই জেলায় রয়েছে শাহ জালাল, শাহ পরানের মাজার। আরো আছে রূপকন্যা হিসাবে পরিচিত জাফলং। তাছাড়াও ঘুরে আসতে পারেন রাতারগুল, লালাখাল, বিছানাকান্দি ও খাদিমনগর চা বাগান।

শ্রীমঙ্গল – মৌলভীবাজার জেলার একটি উপজেলা শ্রীমঙ্গল। বাংলাদেশের ভ্রমণ পিপাসু মানুষের পছন্দের জায়গা এটি। এখানে রয়েছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বাইক্কা বিল, চা গবেষণা কেন্দ্র। এছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু ভালো মানের রিসোর্ট। দেশের স্বনামধন্য হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান এর অবস্থান ও এই শ্রীমঙ্গলেই।

বর্ষাকালের সুন্দর জায়গা

বর্ষাকালে বেড়ানোর জন্যে সবচেয়ে সুন্দর জায়গার মধ্যে রয়েছে সিলেটের রাতারগুল, বিছনাকান্দি, ভোলাগঞ্জ, জাফলং; মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গলের ইকো রিসোর্ট; সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক; রাঙ্গামাটির সাজেক, কাপ্তাই লেক; কিশোরগঞ্জ এর নিকলী, অষ্টগ্রাম হাওর; বান্দরবানের ভ্রমণ স্থান গুলো এবং আপনার আশেপাশে কোন ইকো ফ্রেন্ডলি রিসর্টে। বর্ষাকালে এই জায়গা গুলো বেশি সুন্দর তাই প্ল্যান করে ফেলতে পারেন এখনই।

দেশের সীমানা ছাড়িয়ে অন্য দেশে

আপনার আসন্ন ছুটিতেদেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত হবে কোন দেশ জানতে চান? তাহলে জেনে নিন ভ্রমণ গন্তব্য এবং আর আপনার ব্যাগ প্যাকিং শুরু করুন।

ভারত – সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের দিক থেকে বৈচিত্রপূর্ণ দেশ ভারত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পর্যটক ভারত ভ্রমণ করে থাকেন। ভারতে আলাদা আলাদা প্রদেশে পর্যটকদের দেখার জন্য রয়েছে বিশেষ বিশেষ আকর্ষণ। জনপ্রিয় স্থান গুলোর মধ্যে হলো কোলকাতা শহর, দার্জেলিং, সিকিম, গ্যাংটক, সিমলা, কাশ্মির, আগ্রার তাজমহল, দিল্লীর গেট, কুতুব মিনার। কেরালা, রাজস্থান, মুম্বাই এর মত শহর। আছে হরের মধ্যে রয়েছে ইকো পার্ক ও ঐতিহাসিক স্থাপনা।

থাইল্যান্ড – কম খরচে ঘুরে আসার জন্য একটি সুন্দর দেশ হল থাইল্যান্ড।  এখানে দেখার মতো কিছু জায়গা হল- রাজধানী ব্যাংককের কিছু টেম্পল, পাতায়া, ফ্লোটিং মার্কেট ও ফুকেটের কিছু আইল্যান্ড।

ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া – ইন্দোনেশিয়া যাবার সময় মালয়েশিয়াতে ৪ ঘণ্টার আর আসার সময় ৫ ঘণ্টার ট্রানজিট তাই এক ভিসা তেই দুই দেশে যাওয়ার সুযোগ হবে যদি মালয়েশিয়ার ভিসা করা যায়। ইন্দোনেশিয়াতে যেতে পারেন বালি, সানু বা কোটা যা ইন্দোনেশিয়ার মুল টুরিস্ট স্পট।

সিঙ্গাপুর – আয়তনে ছোট হলেও ভ্রমন প্রেমীদের জন্য সিংগাপুরে দেখার জন্য রয়েছে অনেক কিছু। সিংগাপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ মনোনয়ন প্রাপ্ত। যেখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ আর পশু পাখি। যেতে পারেন চায়না টাউন, গার্ডেন্স অফ দা বে, মারিনা বে, মারলাওন পার্ক, সেন্তোসার মতো জায়গায়।

ভুটান – ভিসার ঝামেলা ছাড়া যেতে পারেন হিমালয় কন্যা ভুটানে। শুধু লাগবে এন্ট্রি পারমিট। সীমান্ত  শহর ফুয়েনশলিং, রাজধানী থিম্পু, পুরনো রাজধানী পুনাখা, পারো ভুটানের প্রধান আকর্ষণীয় স্থান।

নেপাল – পাহাড় প্রেমীদের পছন্দের দেশ নেপাল। এখানে রয়েছে দেখার মতো অনেক বৌদ্ধ মন্দির ও পাহার। ঘুরে আসতে পারেন নেপালের পবিত্র জায়গা হিসেবে পরিচিত লুম্বিনি,সিটি অফ এডভেঞ্চার পোখরা থেকে। আর যেতে ভুলবেন না মাউন্ট এভারেস্টে।আর হাইকিং এর জন্য হাইকিং গিয়ারের সেট আনতে ভুলবেন না। তাহলে মজা অনেকটাই কমে যাবে।‌

জাপান – জাপান প্রাচীন ঐতিহ্য, অতীতের সংস্কৃতি ও আধুনিকতার সংমিশ্রণে বেষ্টিত একটি অপূর্ব দেশ। সারা বিশ্বে হাজার হাজার পর্যটক এখানে আসে রাজধানী কিয়োটোতে অবস্থিতি বৌদ্ধ মন্দির দেখতে। এছাড়া রয়েছে সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধ নগরি কানজওয়া ও নারা। জাপানসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে জাপানের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্থান রয়েছে যেমন- জাপানের আলপস, চুবু-সাংকু জাতীয় উদ্যান, ওসাকা জাতীয় উদ্যান, ইটুকুশিমা দ্বীপ,হিরোশিমা শান্তি স্মৃতিচিহ্ন পার্ক, ইম্পেরিয়াল প্রাসাদ এবং ফুজি পর্বতমালা।

ইতালি – সুন্দর জায়গা, সুন্দর টেরেস এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাসের দেশ ইতালি। রোমানদের বাড়ি এবং রেনেসাঁ যুগের স্থাপত্যের জীবন্ত উদাহরণ হল ইতালি। এখানের প্রায় যেকোনো জায়গা আপনাকে একটি চিরস্থায়ী স্মৃতি দিতে পারবে এবং আপনাকে বিশ্বের সেরা খাবারের নিশ্চয়তা দিবে। ইতালির পর্যটক শহরের মধ্যে রোম, তাসকানি, ফ্লোরেন্স এবং ভেনিস শীর্ষ স্থানে।

স্পেন – স্পেন সফর আপনাকে আবার আপনার তরুণ জীবনে আবার ফিরিয়ে নিবে। কারন স্পেন হল নবজীবনের শহর যেখানে দেখা মিলবে উত্তাল রোমাঞ্চকর সমুদ্র সৈকত, বন্যপ্রাণী , চমৎকার দ্বীপ ও প্রকৃতির রহস্যে ঘেরা নানা রঙ্গিন উদ্ভিদ। উপরন্তু, স্পেন হল একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক এবং শিল্প নগরী তাই ঐতিহাসিক শহর হিসেবে ভ্রমন প্রেমীদের কাছে বেশ নাম আছে স্পেনের।

যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন –

  • যেকোনো ট্যুরের জন্য পূর্ব পরিকল্পনা করে নেওয়া সবচেয়ে দরকারি। কোথায় যাবেন, কিভাবে যাবেন, খরচের একটা আনুমানিক হিসাব এইসব বিষয়ে।
  • দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়ার আগে পাসপোর্ট ও ভিসা বিষয়ক যাবতীয় বিষয়গুলো অবশ্যই পূর্বে ঠিকঠাক করে নিতে হবে।
  • ঈদে টিকেটের একটা জটিলতা সবসময়ই থাকে, তাই আগে থেকেই কিভাবে কিসে যাতায়াত করবেন তার একটা ব্যবস্থা করতে হবে ঘুরতে যাবার আগেই।
  • ঢাকার আশে পাশের জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে সাথে বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে যেতে পারেন সেই ক্ষেত্রে খরচ ও কম হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের ও নিশ্চয়তা পাবেন।
  • একটা ফাস্ট এইড বক্স সাথে রাখবেন যেকোনো সময় কাজে লাগতে পারে।
  • সর্বশেষে যেটা জরুরি, যেখানেই ভ্রমণ করুন না কেনো আপনার কারনে যাতে ট্যুরিস্ট স্পট গুলোর সৌন্দর্য নষ্ট না হয় সেদিকে একটু খেয়াল রাখবেন। সূত্র: ভ্রমন গাইড ডট কম