আইন-আদালত

এক ক্লিকেই কারাগারে পৌঁছাবে জামিন আদেশ

  ১৪ অক্টোবর ২০২৫ , ১২:২৫:৫৪

এক ক্লিকেই কারাগারে পৌঁছাবে জামিন আদেশ: আসিফ নজরুল

এখন থেকে জামিনের এক ক্লিকেই বেইল বন্ড আদেশ কারাগারে চলে যাবে। আগে যেখানে ১২ ধাপে যেতে হতো, এখন অনলাইনে মুহূর্তেই তা পৌঁছে যাবে।

বন্দিদের জামিন পাওয়ার পর মুক্তি পেতে আর দীর্ঘ প্রশাসনিক ধাপ পেরোতে হবে না, এমনই আশার বার্তা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

তিনি জানিয়েছেন, এখন থেকে এক ক্লিকেই জামিন আদেশ কারাগারে পৌঁছে যাবে, ফলে আসামিদের মুক্তির প্রক্রিয়া হবে দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এক বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. আসিফ নজরুল বলেন, আগে আদালত থেকে কারাগার পর্যন্ত জামিন আদেশ পৌঁছাতে প্রায় ১২টি ধাপ অতিক্রম করতে হতো। এতে সময় যেমন লাগত, তেমনি হয়রানিও হতো। এখন থেকে “অনলাইন বেইল বন্ড সিস্টেম” চালু হলে আদালতের আদেশ ডিজিটালভাবে সরাসরি কারাগারে পাঠানো যাবে।

এখন থেকে জামিনের এক ক্লিকেই বেইল বন্ড আদেশ কারাগারে চলে যাবে। আগে যেখানে ১২ ধাপে যেতে হতো, এখন অনলাইনে মুহূর্তেই তা পৌঁছে যাবে, বলেন আইন উপদেষ্টা।

আসিফ নজরুল আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।

তার ভাষায়, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিচার বিভাগ পৃথক সচিবালয় আইন, গুম প্রতিরোধ আইন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন এবং মানবাধিকার আইন বাস্তবায়ন হবে।

এই ডিজিটাল জামিন প্রকল্প সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে জানান তিনি। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে আমাদের ১,৬০০ কোটি টাকা, রেজিস্ট্রি অফিসে ১,৫০০ কোটি টাকা জমা আছে। অনেকেই জানেন না, আমরা নিজেদের টাকায়ই এসব উন্নয়ন করতে পারি, যোগ করেন আসিফ নজরুল।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমরা আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনেকগুলো সংস্কার করেছি। একদম নিজেরা করেছি। কারো কোনো সহযোগিতা ছাড়া। কাল অনলাইন জামিননামা (বেইল বন্ড) উদ্বোধন করব। এই জামিননামাটা, একটা লোক জামিন পাওয়ার পর আদালত থেকে শুরু করে ছাড়া (মুক্তি) পাওয়া পর্যন্ত ১২টা প্রক্রিয়াতে যেতে হয়। কোনো কোনো ধাপে টাকা দিতে হয়। ১২টা ধাপে তাকে হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। আগামীকাল আমরা পাইলট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছি। একটা ক্লিক করবে, আদালতের রায় থেকে জামিননামা সরাসরি জেলখানায় পৌঁছে যাবে, যেখানে আসামি আছে। এটা সরকারের টাকা দিয়ে করেছি। কারো সহযোগিতা লাগেনি।

আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এই উদ্যোগ কার্যকর হলে কারাগারে অযথা দেরি, হয়রানি ও ঘুষের সংস্কৃতি কমবে। একইসঙ্গে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও প্রযুক্তিনির্ভরতা বাড়বে।

আরও খবর