আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র, সড়কে লাখো মানুষ

  ১৯ অক্টোবর ২০২৫ , ১১:০০:৫৯

ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র, সড়কে লাখো মানুষ

‘নো কিংস’ স্লোগানে ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধিতায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভে নেমেছেন লাখো মানুষ। নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে শুরু করে ছোট শহরগুলোতেও বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে জনতা। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্তৃত্ববাদী নীতির বিরুদ্ধে এ প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন রাজনীতিক, শিল্পী, সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে প্রবীণরাও।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) ট্রাম্পের প্রশাসনিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আড়াই হাজারেরও বেশি জায়গায় একযোগে বিক্ষোভ হয়।

রয়টার্স বলছে, নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ার, শিকাগোর গ্রান্ট পার্ক, ওয়াশিংটন ডিসি ও মায়ামিতে রাস্তায় নামেন হাজারো মানুষ। ব্যানার আর নানা স্লোগান তুলে গণতন্ত্রের পক্ষে সরব নাগরিকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে কোনো রাজা নেই, জনগণই রাষ্ট্রের মালিক।

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান নয়, তিনি দেশের রাজা হিসেবে স্বৈরশাসন করছেন। এমনটাই অভিযোগ দেশটির সাধারণ মানুষের।আন্দোলনকারীরা স্লোগানের সঙ্গে ব্যানার, ব্যালুন হাতে মিছিল করেন। যেখানে মানুষের উচ্ছ্বাস ও দৃঢ় প্রতিবাদ স্পষ্ট।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার কার্যনির্বাহী ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করছেন এবং আমরা সবাই এখানে প্রতিবাদ করতে এসেছি যেন তিনি এই অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহার করতে না পারে। কারণ জনগণ ট্রাম্পের এমন আচরণ সহ্য করবে না।

সরকারের স্থবিরতা ও নির্বাহী ক্ষমতার অতিবৃদ্ধিকে ট্রাম্পবিরোধীরা বলছেন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট মার্কিন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। ১৮ দিন ধরে চলা শাটডাউনের মধ্যে আয়োজিত এই সমাবেশগুলোতে বক্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিক ভারসাম্য প্রশ্নের মুখে। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন জানিয়েছে, তাদের আইনজীবী দল শান্তিপূর্ণ ও প্রশিক্ষিত মার্চ নিশ্চিত করতে মাঠে কাজ করছে।

‘নো কিংস’ আন্দোলনের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন খ্যাতনামা কয়েক তারকাও। তাদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী জেন ফন্ডা, কেরি ওয়াশিংটন, সংগীতশিল্পী জন লেজেন্ড, অভিনেতা অ্যালান কামিং ও জন লেগুইজামো।

বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপেও। যুক্তরাজ্য, মাদ্রিদ ও বার্সেলোনায়ও মার্কিন দূতাবাস ঘিরে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করে।

বিক্ষোভের আগে ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা আমাকে রাজা বলে ডাকছে, কিন্তু আমি কোনো রাজা নই।’

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শনিবারের এই সমাবেশ আধুনিক আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নাগরিক প্রতিবাদ হতে পারে, যেখানে অংশ নিয়েছেন আনুমানিক ৩০ লাখ মানুষ।

আরও খবর