বৈশ্বিক সূচক ডিজিটাল কোয়ালিটি অব লাইফ ইনডেক্সে (ডিকিউএল) গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ২৭ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের।ডিজিটাল জীবনযাত্রা কিংবা প্রাত্যহিক ও সামাজিক জীবনে ডিজিটাল সুবিধার ব্যবহার ও ভোগ সম্পর্কিত এ সূচকে চলতি বছরের ৭৬তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে এ অবস্থান ছিল ১০৩। 

ডিকিউএল সূচকটি পরিচালনা করে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) পরিষেবা কোম্পানি সার্ফশার্ক। সূচকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বিশ্বের ১১৭টি দেশকে। ডিজিটাল জীবন সম্পর্কিত ৫টি মৌলিক খাত বা স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয় ডিকিউএল। এসব স্তম্ভ হলো ই-গভর্ন্যান্স, সাধারণ জনগণের ইন্টারনেট ডাটা ক্রয়ের ক্ষমতা, ইন্টারনেট পরিষেবার গুণাগুণ, ইন্টারনেট সম্পর্কিত নিরাপত্তা এবং এ সম্পর্কিত অবকাঠামো। এসব খাতে প্রাপ্ত পয়েন্টের গড় হিসেবে ডিকিউএল সূচকে অন্তর্ভুক্ত কোনো দেশের অবস্থান নির্ধারিত হয়।

চলতি বছর সূচকের ই-গভর্ন্যান্স খাতে বাংলাদেশের ফলাফল সর্বনিম্ন। এ খাতে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৬তম। আর সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে জনগণের ইন্টারনেট ক্রয় ক্ষমতা সম্পর্কিত খাতে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমান বিশ্বে ২৯তম। এছাড়া ইন্টারনেট পরিষেবার গুণাগুণে ৬৭তম, ইন্টারনেট সম্পর্কিত নিরাপত্তায় ৭৫তম এবং ইন্টারনেট অবকাঠামোতে ৮৫তম বৈশ্বিক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। আর ইন্টারনেটের গতি, স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধির হিসাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৬৭তম অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিকিউএল। দুই পরিষেবাতেই অবশ্য বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে ভারত। প্রতিবেশী এই দেশটির মোবাইল ইন্টারনেটের গতি বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি। আর ভারতের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি বাংলাদেশের চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেশি।

ডিজিটাল পরিষেবা সংক্রান্ত এই সূচকে চলতি বছর একক দেশ হিসেবে শীর্ষে আছে ইসরায়েল। অর্থাৎ ডিকিউএলভুক্ত ১১৭টি দেশের মধ্যে ইসরায়েলের ডিজিটাল জীবনযাত্রা সবচেয়ে উন্নত। ইসরায়েলের পর ২য় স্থানে রয়েছে পশ্চিম ইউরোপের দেশ ডেনমার্ক, জার্মানি রয়েছে ৩য় স্থানে এবং ফ্রান্স ও সুইডেন রয়েছে যথাক্রমে ৪র্থ ও ৫ম স্থানে। আর সূচকে সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা ৫টি দেশ হলো ডিআর কঙ্গো, ইয়েমেন, ইথিওপিয়া, মোজাম্বিক ও ক্যামেরুন।