গণমাধ্যম

নন-পলিটিক্যাল কিন্তু প্রফেশনালি অত্যন্ত ভাল এইরকম লোকজন নিয়োগ নিয়ে আলোচনা

  মির্জা গালিব ১১ এপ্রিল ২০২৫ , ১১:২৯:০১

ড. ইউনুসের সরকার বেশ কিছু জায়গায় নন-পলিটিক্যাল কিন্তু প্রফেশনালি অত্যন্ত ভাল এইরকম লোকজন নিয়োগ দিয়েছেন। যেমন বিডার চেয়রাম্যান আশিক মাহমুদ বা বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির ব্যবাস্থাপনা পরিচালক ড. ইমাদুর রহমান Imadur Rahman। ইউনুস নিজেও এই ক্যাটেগরির।

এইটা মূলত মেরিটোক্রাসি, যোগ্যতা সম্পন্ন লোকেরা রাজনীতি না করে, টাকা-পয়সা খরচ না করে বা ভাইয়া-ভাইয়া কালচারের মধ্যে না গিয়ে যাতে ভাল পজিশনে যাইতে পারে। এইটা শুধু দেশে না, রাজনৈতিক দলের মধ্যেও দরকার। বিএনপি তে মাহদী আমীন Mahdi Amin এর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ এই দিক থেকে অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ।

আমরা যারা সাধারণ জনগন, তারাও এই কালচারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি একভাবে। সেইটা হল, ভোট দেবার সময় দল আর মার্কা দেখে ভোট না দিয়ে, বরং নীতি আর প্রার্থীর যোগ্যতা দেখে ভোট দিতে পারি। ধরেন একটা ইলেকশানে বিএনপি বা জামাতের মত বড় দল যদি দেখে যে তাদের খারাপ ক্যান্ডিডেট যতই পয়সা ওয়ালা হোক না কেন; অসৎ হলে, উল্টপাল্টা কথা বললে, সন্ত্রাসী হলে, চোর হলে জিততে পারে না। তাইলে দেখবেন, পরের ইলেকশানে প্রার্থী বাছাইয়ে দলগুলো সোজা হয়ে যাবে। ভোটিং প্যাটার্নের এই পরিবর্তন কিন্তু সত্যিই বাংলাদেশের রাজনীতি বদলে দিতে পারে। তাই আসুন আমরা দলগুলোর নীতি এবং প্রার্থীর ব্যক্তিগত যোগ্যতা নিয়ে বেশী বেশী কথা বলি, সচেতনতা তৈরি করি ।

আপ আপ কোয়ালিটি
ডাউন ডাউন মার্কা

অন্য আরেকজন লিখেছেন :

জনাব #TarequeRahman কি গতকাল Ashik Chowdhury র প্রেজেন্টেশন দেখেছেন? আমি নিশ্চিত না দেখে থাকলে, এখন অবশ্যই দেখবেন। আপনি আমি আমরা কি দেখেছি তার প্রেজেন্টেশনে? কি দেখে মুগ্ধ হয়েছি?

কেউ কেউ শুধুই প্রেজেন্টেশন দেখেছেন। কেউ কেউ দেখেছেন, আশিক চৌধুরী এদেশের তরুণ প্রজন্মের যে আকাঙ্ক্ষার কথা বলেছেন সেটা। বাংলাদেশের যে অপার সম্ভাবনার কথা বলেছেন সেটা। কেউ কেউ দেখেছেন আর ভেবেছেন, এ ছেলেগুলো এতকাল কোথায় ছিলো! কেউ কেউ উপলব্ধি করেছেন এরাই পারবে এদেশেকে উন্নত করতে। আবার কেউ কেউ হয়তো উপলব্ধি করেছেন আশিকের মতো আরো অনেককে এরকম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নতুন করে রিপ্লেস করলে ভালো হবে। সবাই বেশ আনন্দিত খুশি হয়েছে কেবল ঢাবির ছাত্রদলের নেত্রীর মতো মানুষগুলো বাদে।

যারা আশিকের যোগ্যতায় ঈর্ষান্বিত হয়েছেন কিংবা দলীয় চাটুকারিতার জন্য আশিককে মেনে নিতে পারেন নি, তাদের কাছে আসলে আমরা কি আশা করতে পারি!? বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে কি আশিকের মতো একজন আছে? কিংবা তাদের কারো ডাকে আশিকের মতো কেউ নিজের সুন্দর জীবন যাপন ছেড়ে দেশে এসে হাল ধরার সাহস দেখাবে?

চ্যালেজ্ঞ দিয়ে বলতে পারি একজনও নেই। এমন যোগ্য একজনও কখনো তাদের কারো ডাকে নিজের স্বাভাবিক জীবন যাপন ছেড়ে এসে এভাবে দ্বায়িত্ব নেবে না। আসলে তাদেরকে কেউ বিশ্বাস করে না। কিন্তু ড. ইউনুসকে তারা বিশ্বাস করে। কারণ তারা জানে ড. ইউনুসের সেই যোগ্যতা সেই জ্ঞান সেই বোধগম্যতা আছে, একজন মানুষকে ভলো একটা জায়গা থেকে এনে অনিশ্চিত একটা জায়গায় বসানোটা যে কত বড় দায় আর সেই দ্বায়িত্ব বোধ ড. ইউনুসের আছে তাই তাঁর কথায় সিঙ্গাপুর ছেড়ে দেশ ফিরতে এক মূহুর্ত চিন্তা করতে হয়নি আশিককে। একটি কলই যথেষ্ট ছিলো। যাক সে কথা, সেই যোগ্যতা না থাকলে এসব বাজে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের এই যোগ্যতা ঠিকই আছে কিভাবে একটা মানুষকে নিয়ে কুৎসা রটানো যায়। মিথ্যাচার করা যায়। হেয় করতে কত আজে বাজে কথা বলা যায়।

যদি জনাব তারেক রহমান আশিকের প্রেজেন্টেশন দেখে থাকেন তাহলে আমি নিশ্চিত উনি গভীর টেনশনে পড়েছেন। টেনশন এজন্য যে এদের সামনে দাঁড়িয়ে কি রাজনীতি করবেন তিনি! কিংবা নিজেই সন্দিহান হয়ে পড়েছেন এমন প্রজন্মকে নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা ওনার আসলেই আছে কিনা? আমরা সবাই জানি বুঝি কার কি কতটা যোগ্যতা আছে আসলে।

প্রথমেই বলছিলাম ঐ প্রেজেন্টেশনে আমরা কি দেখেছি। কিন্তু তারেক রহমান কি দেখেছেন? উনি দেখেছেন ওনার সামনে যারা দাঁড়াচ্ছে তারা ওনার সাজানো গোজানো বিএনপির সংসারটা ফুঁ মেরে উড়িয়ে দেওয়ার যোগ্যতা রাখে। এরা ওনার চাইতে শতগুণ যোগ্য মেধাবী। উনি উপলব্ধি করেছেন, এই বিএনপি নিয়ে দেশের জনগণকে বোকা বানানো যেতে পারে কিন্তু এমন তরুণদের নয়। ওনার জন্য এখন একটা নতুন বিপদ তৈরী হয়েছে, দেশের জনগণ যখন একবার বুঝতে শুরু করেছে। উপলব্ধি করছে এসব তরুণ আর তাদের মধ্যে পার্থক্য কি! তখন সেই জনগণকে উনি আর কতক্ষণ আগের ধারার বস্তাপচা গান শুনিয়ে ভোলাবেন! যত দেরী হবে জনগণ তত উপলব্ধি করবে নেতাদের কথা আর তরুণদের কথায় কত আকাশ পাতাল তফাৎ! – সুতরাং আর দেরী কোনো ভাবেই করা যাবে না, কালই নির্বাচন লাগবে। সংস্কার করা যাবে না। সংস্কার হলেই ধান্ধাবাজি চাঁদাবাজির রাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে। এদেরকে আর বেশী দিন সুযোগ দেওয়া যাবে না। তাহলে আমাদের চাঁদাবাজদের ঘর উজাড় হয়ে যাবে।

এসবের বাহিরে কোনো কিছু বোঝার ভাবার চিন্তা করার কোনো যোগ্যতাই বিএনপি বা তাদের নেতৃত্বের নাই। তারা এসবই ভেবেছেন ভাবছেন আশিক কে দেখে এটা সুনিশ্চিত। বিশ্বাস হয় না? কটাদিন অপেক্ষা করেন, ওদের কাজে কর্মেই বুঝে যাবেন যা বলেছি ঠিকই বলছি।

https://www.facebook.com/share/164YLB1Vtq/?mibextid=oFDknk

আরও খবর