প্রবাস

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের আশ্রয় সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত স্থগিত

  ২৯ নভেম্বর ২০২৫ , ৩:৫৬:২৩

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের আশ্রয় সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত স্থগিত

Image not found

ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনার জেরে যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের আশ্রয় আবেদনের নিষ্পত্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। একজন শীর্ষস্থানীয় অভিবাসন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

‘মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সেবা (ইউএসসিআইএস)’ বিভাগের পরিচালক জোসেফ এডলো শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, যতক্ষণ না প্রত্যেক বিদেশি নাগরিককে (যারা যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় প্রার্থী) সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাচাই–বাছাই করা যায়, ততক্ষণ আশ্রয় সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে।

সংবাদমাধ্যম সিবিএস জানিয়েছে, ইউএসসিআইএসের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আশ্রয় প্রার্থীদের আবেদনের ব্যাপারে যেন কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়। এটি বিশ্বের সব দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।

তবে আবেদন যাচাই বাচাইয়ের কাজ তারা চালিয়ে যেতে পারবেন। শুধুমাত্র সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে কর্মকর্তাদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এর আগে তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসী নেওয়া বন্ধের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও নির্দিষ্ট করে কোনো দেশের কথা উল্লেখ করেননি তিনি।

তবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত ব্যাপক আইনি বাধার মুখে পড়বে। এ ছাড়া এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা ও চাপের মুখেও পড়বেন তিনি। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপের চেষ্টা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর মধ্যে অনেক অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম হলে স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়া বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

গ্রিন কার্ডধারী ও অভিবাসীর সংখ্যা
‘তৃতীয় বিশ্ব’ থেকে অভিবাসন প্রক্রিয়া স্থগিতের পাশাপাশি ১৯ দেশে জন্ম নেওয়া গ্রিন কার্ডধারীদের পুনরায় যাচাইয়ের কথাও বলেছেন ট্রাম্প। এএফপির তথ্য, এই ১৯ দেশের মধ্যে আছে আফগানিস্তান, কিউবা, হাইতি, ইরান ও মায়ানমার। অভিবাসন বিষয়ক সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, এসব দেশের প্রায় ১৬ লাখের বেশি ব্যক্তি মার্কিন গ্রিন কার্ডধারী। সবচেয়ে বেশি কিউবার, প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার। এরপরে আছে, হাইতি (২,৩৫,০০০) ও ভেনেজুয়েলা (১,৫৩,০০০)।

মার্কিন গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ১৯ লাখ। যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ১৫.৪ শতাংশ। গত জানুয়ারিতে এই পরিমাণ ছিল রেকর্ড ৫ কোটি ৩৩ লাখ।

২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে সংস্থাটি জানায়, এই অভিবাসীদের ১ কোটি ১০ লাখের জন্ম মেক্সিকোতে। ৩২ লাখের ভারতে, চীনের ৩০, ফিলিপাইনে জন্ম ২১ লাখের।

বাংলাদেশি কত? মার্কিন জনশুমারি ব্যুরোর তথ্যের বরাত দিয়ে পিউ রিসার্চ সেন্টার জানিয়েছে, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ৩ লাখ মানুষ নিজেদের বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

আরও খবর