Ekush.Info

বিদ্যুতে বাড়ছে অনর্থক ভর্তুকি

সঞ্চালন লাইনের সম্প্রসারণ না করে দেশে ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে। এতে উৎপাদিত বিদ্যুতের অর্ধেকই অব্যবহূত থেকে যায়। এভাবে নতুন বিদ্যুতের সংযোজনকে অর্থনীতিবিদ এবং বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞরা দেশের অর্থনীতির জন্য বোঝা মনে করছেন।

তাদের মতে, উৎপাদন ও বিতরণে সমন্বয় না হওয়ায় এসব প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতের সরকারি অর্থ কৌশলে কিছু ব্যক্তির পকেটে চলে যাচ্ছে। তাই শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন নয়, একই সঙ্গে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনও সম্প্রসারণ করতে হবে। নইলে অব্যবহূত বিদ্যুতের জন্য প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে সরকারি খাত থেকে চলে যাবে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা ২৫ হাজার ৫৬০ মেগাওয়াট। ২০২৪ সালের মধ্যে আরো কয়েকটি বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হতে যাচ্ছে। এরপর বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা হবে ৩২ হাজার ৮৮৮ মেগাওয়াট।

চলতি (২০২১-২২) অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে যে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও বিভিন্ন সংস্থাকে ঋণ দেয়ার জন্য ৪৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়, তার মধ্যে কৃষির পরের দ্বিতীয় অবস্থানে থাকে বিদ্যুৎ খাত। এই বছর এই খাতে মোট ভর্তুকি দেয়া হবে ৯ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্য, ভর্তুকি দেয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে খরচ হয়, তার চেয়ে কম মূল্যে গ্রাহকদের কাছে সেটি বিক্রি করা হয়।

কিন্তু সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকির টাকার সিংহভাগই ব্যয় হয় ক্যাপাসিটি চার্জের জন্য। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের একটি প্রতিবেদনে গত বছর মে মাসের একদিনের চিত্র তুলে ধরে দেখিয়েছিল যে, বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৬০ শতাংশ বসিয়ে রেখে ‘ক্যাপাসিটি চার্জ’ দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ সরকার যেসব তেল ও গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছিল, চুক্তি অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে না পারলে একটি নির্ধারিত চার্জ দিতে হয়। এটাই ক্যাপাসিটি চার্জ। বর্তমানে বাংলাদেশে টাকার অংকে সেটি বছরে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস (আইইইএফএ) ২০২০ সালে একটি প্রতিবেদনে বলেছিল, বাংলাদেশে মোট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪৩ শতাংশ ব্যবহূত হয়, বাকি ৫৭ শতাংশ অলস বসিয়ে রেখে কেন্দ্র ভাড়া দেয়া হয়।

এদিকে বাংলাদেশের বিদ্যুতের ওভারক্যাপাসিটি শিগগিরই ৭০ শতাংশে পৌঁছতে পারে। বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, দেশের মাথাপিছু গড় বার্ষিক বিদ্যুতের ব্যবহার দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও সবচেয়ে কম।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ক্ষমতার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উপাদান করে অর্থনীতিতে বোঝা বাড়তে থাকবে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহ করে তা যথাযথ সঞ্চালন করতে না পারলে ক্যাপসিটি চার্জ দিতে দিতে একসময় অর্থনৈতিক পতন ঘটাতে পারে। তিনি বলেন, যখন আপনি দৃশ্যত অর্থ ব্যয় করতে থাকেন, তখন সিস্টেমের সম্পূর্ণ পতন অনিবার্য।

বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আগামী আড়াই বছরে নতুন চারটি কেন্দ্র থেকে ৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এর মধ্যে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন হবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট, ভারতের আদানি গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে যোগ হবে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট, বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে যোগ হবে ১ হাজার ২২৪ মেগাওয়াট এবং ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট যোগ হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কয়লাভিত্তিক রামপাল এবং আদানি গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০২২ সালের আগস্টের মধ্যে চালু হওয়ার ছিল। কিন্তু আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের ট্রান্সমিশন লাইন প্রস্তুত হবে না বলে এ সময়ের মধ্যে এ কেন্দ্র দুটি চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ১৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০২০ সালে চালু হওয়ার পর থেকে সঞ্চালন লাইনের অভাবে অর্ধেক ব্যবহার করা হয়েছে।

পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের তথ্য অনুসারে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট, যা গত ১৬ এপ্রিল রেকর্ড করা হয়েছিল। গ্রীষ্মকালে গড় বিদ্যুৎ খরচ হয় প্রায় ১২ হাজার মেগাওয়াট, যা শীতকালে ১০ হাজার মেগাওয়াটের নিচে নেমে যায়।

বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এক্সটার্নাল ডেট-এর সদস্য সচিব হাসান মেহেদী বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশনে যতটা ব্যয় করেছে তার চেয়ে তিনগুণ বেশি বিনিয়োগ করেছে উৎপাদন ক্ষমতা সম্প্রসারণে। ২০১৬ সালে প্রণীত বিদ্যুৎ খাতের মাস্টার প্ল্যানের পরিকল্পনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ট্রান্সমিশন এবং ডিস্ট্রিবিউশনে বিনিয়োগ উৎপাদনে বিনিয়োগের দেড় গুণ হওয়া উচিত ছিল।

বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এক্সটার্নাল ডেট-এর তথ্যমতে, অব্যবহূত বিদ্যুতের ধারণক্ষমতার জন্য ভর্তুকি (যা ক্যাপাসিটি চার্জ নামে পরিচিত) বিদায়ী আর্থিক বছরে আনুমানিক ২৬ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা দাঁড়াবে। মার্চ মাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অর্থ বছরে তুলনায় বিদায়ী অর্থ বছরে অব্যবহূত বিদ্যুতের জন্য দেশে ক্যাপাসিটি চার্জ ১০১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর অব্যবহূত বিদ্যুতের ব্যয় আগামী অর্থ বছরে (২০২৩) ৩১ হাজার ৬০০ কোটি টাকায় পৌঁছবে।  আর ২০২৪ সালে রূপপুর প্ল্যান্ট শুরু হলে এ চার্জ আরো বাড়বে বলে মনে করে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ আকরাম উল্লাহর মতে, বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জুলাইয়ের কাছাকাছি উৎপাদন শুরু করতে পারে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বলেন, রামপাল প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশনের জন্য সঞ্চালন লাইন ডিসেম্বরের আগেই প্রস্তুত করার চেষ্টা চলছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি একবার চালু হওয়ার জন্য প্রস্তুত হলে বছরে ২ হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হবে।

খুলনার রামপাল প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, চাহিদা কম থাকায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে আছে। পিডিবির তথ্য অনুযায়ী, খুলনা অঞ্চলে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা ২ হাজার ৩৮৮ মেগাওয়াট যা স্থাপিত ক্ষমতার বিপরীতে ১ হাজার ৩৮৮ মেগাওয়াট।

বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এক্সটার্নাল ডেট-এর পায়রা প্ল্যান্টটিকে অর্থবছর-২১ এ সবচেয়ে ব্যয়বহুল পাওয়ার প্ল্যান্ট হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ খাত সরকারি অর্থ কৌশলে ব্যক্তিগত পকেটে স্থানান্তরের একটি হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

আগামী আগস্টে ভারতের ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট আদানি গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) তথ্যমতে, ভারতের ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একটি দীর্ঘ আন্তঃসীমান্ত ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক প্রয়োজন, যা ২০২৩ সালের জানুয়ারির আগে প্রস্তুত হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে ভারতের আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনা বাংলাদেশের জন্য লাভজনক, না অধিক ব্যয়ের ফাঁদে জড়িয়ে পড়বে- তা নিয়ে ওয়াকিবহাল মহলে বিতর্ক চলছে। ঝাড়খণ্ডে প্রায় সম্পন্ন ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হতে পারে। ২৫ বছরের মেয়াদে এই বিদ্যুৎ কিনতে সম্ভাব্য ব্যয় হবে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ক্যাপাসিটি চার্জই ৯৬ হাজার কোটি টাকা। ক্যাপাসিটি চার্জ হচ্ছে সর্বোচ্চ পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহারের সময়ে গ্রিডে পর্যাপ্ত শক্তি নিশ্চিত রাখার জন্য দেয় মাশুল।

অসম চুক্তি, অযাচিত ব্যয়, বেশি দাম এবং সমঝোতায় অদক্ষতার কারণে এই বিদ্যুৎ কেনা বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, লোকসানের ভারে জর্জরিত বিদ্যুৎ খাতকে আরও ধরাশায়ী করে দেবে আদানির ব্যয়বহুল বিদ্যুৎ। আদানির বিদ্যুতের দাম দেশীয় কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎ বা ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের চেয়ে বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে আদানির বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে। ফলে এ বিদ্যুৎ যখন আসবে তখন ব্যয়বহুল তেলচালিত কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ কেনা কমবে। এতে ভর্তুকিও হ্রাস পাবে।

ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলায় ১৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করবে আদানি গ্রুপ। সেখান থেকে ১৪৭ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বগুড়া পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ আনা হবে। এর মধ্যে ৯০ কিলোমিটার সঞ্চালন হচ্ছে ভারতে। লাইন স্থাপনের কাজ এ বছরের অক্টোবর বা নভেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ এরই মধ্যে ৮৪ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগস্টের মধ্যে উৎপাদনে যেতে পারে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র।

৮৪ দশমিক ৬ শতাংশ প্ল্যান্ট ফ্যাক্টরে এই কেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৩৪৪ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। বিদ্যুৎ জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইনে সমঝোতার মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে। ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট আদানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর আদানির সঙ্গে ক্রয়চুক্তি সই হয়।

বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে আদানির বিদ্যুৎ সস্তা। ফলে এই বিদ্যুৎ আমদানি দেশের জন্য লাভজনক। আদানির বিদ্যুৎ এলে তেলভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন কমবে। পাশাপাশি গ্যাস সংকটে থাকা বিদ্যুতের যে ঘাটতি হয় তা থেকেও পরিত্রাণ মিলবে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ ঘাটতি ও লো-ভোল্টেজ সমস্যার সমাধান মিলবে।

তবে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, এমনিতেই অবিবেচনা প্রসূতভাবে দলীয় ব্যবসায়ীদের বিদ্যুৎকেন্দ্র দিয়ে বিদ্যুৎ খাতকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চাহিদা না থাকায় প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা মাশুল দিচ্ছে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে। এর মধ্যে আমদানির বিদ্যুতের কোনো প্রয়োজন ছিল না। আগামী দিনগুলোতে বিদ্যুতের দাম আরও ঘনঘন বাড়বে। বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি ও কমিশন ব্যবসার জন্য জনগণ অর্থ দিতে থাকবে।

বিইআরসি ইতোমধ্যে বাল্ক বিদ্যুতের দাম বর্তমান ৫ দশমিক ১৭ টাকা প্রতি ইউনিট থেকে বাড়িয়ে ৮ দশমিক ১৬ টাকা করার সুপারিশ করেছে। এতে খুচরা ইউনিটের বিদ্যুতের দাম পড়বে ৭ দশমিক ১৩ টাকা। এই প্রস্তাবিত বৃদ্ধির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগস্টের মধ্যে হতে পারে।

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ভারত, নেপাল ও ভুটানের মতো দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয়বহুল হবে। সেখানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হয় ৫ টাকার কম।