ঈদের আগে রেমিট্যান্সের ঢল
এক দিন বাদেই ঈদুল আজহা। ঈদ কেন্দ্র করে দেশে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে লক্ষণীয়ভাবে। ঈদের আগে বিগত ছয় দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৪ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৬ হাজার ৯২৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঈদের আগে সবসময়ই রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়ে‌। প্রবাসীদের পরিবার-পরিজন যেন ঈদ উৎসব সুন্দরভাবে পালন করতে পারে এবং কোরবানির পশু কিনতে পারে, সে জন্য তারা দেশে অর্থ পাঠাচ্ছেন। এ ছাড়া এখন ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে বিনিময় হারও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। সব মি‌লি‌য়ে ঈদুল আজহায় রে‌মিট্যান্স বে‌ড়ে‌ছে।

তিনি বলেন, এ সময় রেমিট্যান্স বৃদ্ধির খুবই দরকার ছিল। নানা পদক্ষেপের কারণে আমদানি ব্যয় কমতে শুরু করেছে। রফতানির পাশাপাশি রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণে আশা করছি ঈদের পর মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, সদ্য বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম।

২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এ ছাড়া গত জুন মাসে ১৮৩ কো‌টি ৭২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের মাসের চেয়ে ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার কম। চলতি বছরের মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। আর আগের বছরের জুনের তুলনায় ১০ কোটি ৩৫ লাখ ডলার কম। গত বছর মে মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৯৪ কোটি ৮ লাখ ডলার।

রেমিট্যান্সের এই উল্লম্ফনের কারণে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মে-জুন মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসার যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তা আর নামবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।