হালফ্যাশন ১২ অক্টোবর ২০২৫ , ৯:৩৫:২১
আসলে সকালে সতেজভাবে ঘুম থেকে ওঠা এক ধরনের অভ্যাস, যা গড়ে তোলা সম্ভব সঠিক রুটিন ও কিছু সহজ পরিবর্তনের মাধ্যমে। সঠিকভাবে মস্তিষ্ক ও শরীরকে প্রশিক্ষিত করলে সকালে ওঠা হয়ে উঠতে পারে স্বাভাবিক, স্বস্তিদায়ক এবং শক্তিতে ভরপুর। এ বিষয়ে গবেষণার মাধ্যমে এমন পাঁচটি অভ্যাসের অনুসন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যা আপনাকে সাহায্য করবে এক উদ্যমী দিন শুরু করতে। চলুন দেখে নেওয়া যাক বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত অভ্যাগগুলো।
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি বা বডি ক্লক সঠিকভাবে কাজ করতে শেখে। নিয়মিত রুটিন মেনে চললে ঘুমের মান উন্নত হয় এবং সকালে সহজেই ঘুম ভাঙে। এমনকি ছুটির দিনেও সময়সূচি এক রাখার চেষ্টা করুন।
ঘুমের আগে এক ঘণ্টা রাখুন নিজের জন্য। ফোন বা টিভির বদলে বই পড়া, মেডিটেশন বা এক কাপ স্লিপিং টি পান করতে পারেন। এই সময়টি মস্তিষ্ককে বিশ্রামের সংকেত দেয়, যা ঘুমকে গভীর ও প্রশান্ত করে তোলে।
ল্যাপটপ, ট্যাব বা মোবাইলের নীল আলো মস্তিষ্ককে দিনের সময় হিসেবে বিভ্রান্ত করে, যার ফলে ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনের ক্ষরণ বাধাগ্রস্ত হয়। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩০ থেকে ৬০ মিনিট আগে সব ধরনের স্ক্রিন বন্ধ রাখার অভ্যাস করুন।
হঠাৎ জোরে অ্যালার্ম বাজলে শরীরে অস্বস্তি তৈরি হয় এবং ঘুমের ছন্দ নষ্ট হয়। এর পরিবর্তে ধীরে ধীরে ভলিউম বাড়ে এমন হালকা সুরের অ্যালার্ম ব্যবহার করুন। এতে ঘুম ভাঙার প্রক্রিয়াটি হবে অনেক বেশি স্বাভাবিক ও আরামদায়ক।
ঘুম থেকে ওঠার পর কয়েক মিনিট সূর্যের আলোতে থাকুন। এটি শরীরের সার্কাডিয়ান রিদম ঠিক রাখে এবং মস্তিষ্ককে জানায়, নতুন দিন শুরু হয়েছে। সূর্যালোক মন ভালো রাখার হরমোন সেরোটোনিন নিঃসরণেও সাহায্য করে, যা আপনাকে সারাদিন সতেজ রাখে।
সকালের সঠিক শুরুই সারাদিনের কর্মশক্তি, মনোযোগ ও মানসিক ভারসাম্য নির্ধারণ করে। তাই ঘুমের অভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনুন, নিজেকে দিন প্রাকৃতিক ছন্দে চলার সুযোগ। নিয়মিত রুটিন, পর্যাপ্ত ঘুম ও একটু সূর্যের আলোই পারে আপনাকে প্রতিদিনের সকালকে করে তুলতে চাঙা ও প্রাণবন্ত।
সূত্র: জি নিউজ ইন্ডিয়া
ছবি: এআই দিয়ে তৈরি