১৫ অক্টোবর ২০২৫ , ১০:০৪:৪৮
আল আমিন হোসেন, ঢাকা
বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। তখন থেকেই সমীক্ষা যাচাই, নকশায় ত্রুটিসহ নানা বিষয় নিয়ে সমালোচনা চলছিল।
বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়ক তৈরিতে সময় লেগেছে প্রায় ১২ বছর। অপরিকল্পিত নির্মাণকাজে বেড়েছে বায়ুদূষণ। ভোগান্তি বেড়েছে যানজটে। কাজের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিআরটি প্রকল্প।
প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৯৭ শতাংশ। এই মুহূর্তে বন্ধ হলো র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্প। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশেষায়িত লেনে শুধু বিআরটি বাস চললে অন্য লেনে যানজট আরও বাড়বে। তাই বাতিল করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘সড়কটা আমরা খুলে দেবো। কিছু কিছু মেরামতের দরকার, আমাদের স্টেশনগুলো। এগুলো মেরামত করা হবে। মোটামুটি এই পর্যায়ে প্রকল্পটাকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। এখন পরবর্তী সরকার এসে যদি তারা চিন্তা করে, এটাকে বিআরটি করবে—অবকাঠামো কিন্তু থেকে যাবে। এটাকে শুরু করতে যেটা করতে হবে, বাস কিনতে হবে আর স্টেশনগুলো রিভাইভ করতে হবে—যেখান থেকে মানুষ টিকিট কিনবে।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য, লুটপাটের জন্য নেওয়া হয়েছিল এই প্রকল্প। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘ঠিকাদারদের অগ্রিম বিল দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। এমনকি জামানতের অর্থ থেকেও তাদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই যে “জামাই আদর” যারা করলেন, বারবার এই ঠিকাদারকে—তারা কারা? এটা তো খুঁজে বের করতে হবে। আমি মনে করি, এই প্রকল্পে যেভাবে অর্থের অপচয় হয়েছে—বিশেষ করে এটা যদি এখন চার লেন হিসেবে চালু করা হয়, এখান থেকে আর্থিক কোনো লাভ আসবে না।’
শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, পরে বাড়ানো হয় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা পর্যন্ত। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হলে তা ফেরত পাঠায় পরিকল্পনা কমিশন।