• ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম তালিকায় নবম ও দ্বাদশ স্থানে রয়েছে
  • শীর্ষ ২০ ধীরগতির তালিকায় রয়েছে ভারতের আটটি শহর

যান চলাচলে বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ঢাকা। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় গবেষণাটি করেছেন ফিনল্যান্ডের আলটো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনব্যবস্থার অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রত্যয় আমান আকবর, কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির সহযোগী অধ্যাপক ভিক্টর কুচিও, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রিয়েল এস্টেট বিভাগের অধ্যাপক গিলেস ডুরানটন এবং যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির সহযোগী অধ্যাপক অ্যাডাম স্টোরিগার্ড। 

গবেষনায় বিশ্বের ১৫২টি দেশের এক হাজার ২০০ টিরও বেশি শহরের যান চলাচলের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বাংলাদেশের আরও দুটি শহর ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির ২০ শহরের তালিকায় রয়েছে। এই দুই শহর তালিকায় যথাক্রমে নবম ও দ্বাদশ স্থানে রয়েছে।

নাইজেরিয়ার দুই শহর লাগোস ও ইকোরোদু তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এর পরেই রয়েছে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা, ভারতের ভিওয়ান্দি ও পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা। শীর্ষ ২০ ধীরগতির শহরের তালিকায় ভারতের সর্বাধিক আটটি শহরের নাম রয়েছে।

গবেষণায় সবচেয়ে বেশি গতির শহর হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ফ্লিন্ট শহরের নাম এসেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গতির ১০০ শহরের মধ্যে ৮৬টিই যুক্তরাষ্ট্রের। প্রতিবেদনে সবচেয়ে দ্রুতগতির যে ২০টি শহরের নাম এসেছে, তার মধ্যে ১৯টি যুক্তরাষ্ট্রের। একটি কানাডার অন্টারিও অঙ্গরাজ্যের উইন্ডসর।

গবেষকরা গুগল ম্যাপের তথ্য ব্যবহার করে বিশ্বের এক হাজারেরও বেশি শহরের ট্র্যাফিক বিশ্লেষণ করেছেন, যেসব শহরের জনসংখ্যা তিন লাখের বেশি।

গবেষণার তথ্য অনুসারে, বিষয়টি এমন নয় যে সবচেয়ে ধীরগতির শহর বেশি ঘনবসতিপূর্ণ কিংবা বেশি ঘনবসতিপূর্ণ শহরই সবচেয়ে বেশি ধীরগতির। একটি শহরে যান চলাচলের গতি আংশিকভাবে নির্ভর করে সেখানকার যানজটের ওপর। বাকি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হলো—রাস্তার বিন্যাস, সড়কের গুণমান এবং পাহাড় ও নদীর মতো প্রাকৃতিক বাধা থাকা। এগুলোর ওপরেই নির্ভর করে সড়কে যানবাহন কতটা দ্রুত চালানো যাবে।