জাহান হাসান ১০ মার্চ ২০২৫ , ৮:৫২:১৮
যে ব্যক্তি অন্যের প্রতি অবিচার করে, জুলুম করে বা আল্লাহর নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করে, তাকে জালিম বলা হয়।
1. অন্যের অধিকার হরণ করা।
2. দুর্নীতি ও অন্যায় করা।
3. মানুষকে কষ্ট দেওয়া ও তাদের উপর ক্ষমতার অপব্যবহার করা।
4. সত্য গোপন করা বা মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া।
মুনাফেক এমন ব্যক্তি, যে প্রকাশ্যে ইসলাম দেখায় কিন্তু অন্তরে অবিশ্বাস লুকিয়ে রাখে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) মুনাফেকদের তিনটি চিহ্ন বর্ণনা করেছেন:
1. কথা বললে মিথ্যা বলে।
2. প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে।
3. আমানত বা বিশ্বাসঘাতকতা করে।
হ্যাঁ, জালিম (অন্যায়কারী) ও মুনাফিক (ভণ্ড) উভয়েই ইসলামের জন্য ক্ষতিকর এবং ধর্মের শত্রু বলে গণ্য হতে পারে।
জালিমরা আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন করে, মানুষের ওপর অত্যাচার চালায় এবং সত্যকে গোপন করে।
কুরআনে আল্লাহ বলেন:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ জালিমদের ভালোবাসেন না।” (সুরা আলে ইমরান ৩:৫৭)
তারা অন্যের অধিকার নষ্ট করে এবং সমাজে অন্যায় ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, যা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।
মুনাফিকরা ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু, কারণ তারা মুসলিম সমাজের ভেতরে থেকেই ধর্ম ও উম্মাহকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে।
আল্লাহ বলেন:
“নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে।” (সুরা আন-নিসা ৪:১৪৫)
তারা ঈমানদারদের মাঝে সন্দেহ সৃষ্টি করে, ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র করে এবং নিজেদের স্বার্থের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে।
যদি কেউ জুলুম করে কিন্তু আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.)-এর ওপর বিশ্বাস রাখে, তাহলে সে গুরুতর গোনাহগার মুসলিম। তবে, তার জুলুমের জন্য আল্লাহর কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
কিন্তু যদি কেউ ইসলাম ও ন্যায়বিচারকে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্বীকার করে, তাহলে সে ইসলামের শত্রু এবং তার ঈমান নষ্ট হতে পারে।
ইসলামের দৃষ্টিতে মুনাফিকদের দুটি ধরন রয়েছে:
1. আমলী (কর্মগত) মুনাফিক: যারা ইসলামের কিছু শর্ত মানে না, কিন্তু নিজেকে মুসলিম দাবি করে। তারা প্রকাশ্যে মুসলিম বলে গণ্য হলেও তাদের কর্ম ও চরিত্র ইসলামবিরোধী।
2. ইতিকাদী (বিশ্বাসগত) মুনাফিক: যারা অন্তরে ইসলামকে অস্বীকার করে কিন্তু বাহ্যিকভাবে মুসলিম পরিচয় বহন করে। কুরআনের দৃষ্টিতে এরা প্রকৃতপক্ষে কাফির এবং তাদের পরিণতি জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে।
জালিম ও মুনাফিক উভয়েই ইসলামের ক্ষতি করে। জালিমরা মুসলিম হতে পারে, তবে তারা ইসলামের আদর্শের পরিপন্থী। কিন্তু বিশ্বাসগত মুনাফিকরা প্রকৃতপক্ষে মুসলিম নয়, বরং তারা ইসলামের শত্রু এবং কুরআনের ভাষায় কাফিরদের চেয়েও নিকৃষ্ট।
সোশ্যাল মিডিয়ায় #কাজী মশহুরুল হুদার স্ট্যাটাস নিয়ে আলোচনা