রোজার সময় দিনের একটা বড় অংশে পানি খাওয়া হয় না। তবে এরপর পর্যাপ্ত পানি খেলে পানিশূন্যতা হওয়ার ভয় নেই। কিন্তু সচেতন না হলে পানির অভাবে নানা ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে জিহ্বা শুকিয়ে যায়। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া, প্রেসার কমে যাওয়া কিংবা দুর্বলতার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যারও অন্যতম কারণ পানিশূন্যতা। রোজার পানিশূন্যতা রোধে কিছু পরামর্শ জেনে নিন।
- রোজা ভাঙার পর পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার উপর জোর দিতে হবে। ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি খেতে হবে অবশ্যই। তবে খাওয়ার মাঝখানে পানি খাবেন না কিংবা একবারে অতিরিক্ত পরিমাণ পানি খেয়ে ফেলবেন না।
- ইফ্রারে পর তারাবির নামাজের সময় সাথে একটি পানির বোতল রাখুন এবং কিছুক্ষণ পর পর পানি খান।
- স্যুপ, শসা এবং তরমুজের মতো পানিযুক্ত খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- পানিতে ইলেক্ট্রোলাইট যোগ করতে পারেন। ইলেক্ট্রোলাইট শরীরকে আপনি যে পানি পান করছেন তা শোষণ করতে এবং অতিরিক্ত পটাসিয়াম, সোডিয়াম এবং ভিটামিন সি যোগ করতে সহায়তা করে। পানিতে ইলেক্ট্রোলাইট পাউডার মেশাতে পারেন বা ডাবের পানি, এক চিমটি লবণ এবং এক চিমটি কমলার রস দিয়ে নিজেই তৈরি করতে পারেন ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়।
- রোজায় সময় খাদ্য তালিকায় এমন খাবার রাখবেন যেগুলো সহজে হজম হয়। ভাজাপোড়া কিংবা রিচ ফুড শরীরকে আরও পানিশূন্য করে তোলে।
- প্রয়োজন ছাড়া রোদে যাবেন না কিংবা রোজা রেখে ভারি ব্যায়াম করতে যাবেন না। এতে ঘাম বেশি হয়ে পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ার আশংকা থাকে।
- ৮৮ শতাংশ পানি ছাড়াও প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের চমৎকার উৎস দই। ইফতারে চিড়া বা ফল দিয়ে এক বাটি দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকবে।
- এনার্জি পেতে ও শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করতে তাজা ফলের রস দিয়ে ইফতার করুন। মাল্টা, কমলা, ডালিম, আপেলের রস রাখতে পারেন মেন্যুতে।