ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Bangladesh’s foreign debts surge by 322pc in 14 years’ অর্থাৎ ‘১৪ বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ৩২২ শতাংশ বেড়েছে’।

এ খবরে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ২০২৩ সালের জুনের শেষে ৯৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের শুরুতে ২০০৯ সালের জুন মাসে ছিল ২৩.৫ বিলিয়ন ডলার।

গত ১৪ বছরে ৭৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩২২ শতাংশ বিদেশি ঋণ বাড়ার পেছনে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য বিদেশী ঋণের উপর দেশটির ক্রমবর্ধমান নির্ভরতাকে দায়ী করছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ সাধারণত বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং প্রধান বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতো বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান থেকে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করে।

বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক ঋণ রিপোর্ট ২০২২ অনুসারে, ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ১০ বছরে ভারতের বিদেশী ঋণ প্রায় ৮৩ শতাংশ, পাকিস্তানের ১০১ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কার ১১৯ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ২১৩ দশমিক ছয় শতাংশ।

সাধারণত, বৈদেশিক ঋণ জিডিপির ৪০ শতাংশের বেশি হলে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ আপাতত নিরাপদ অবস্থায় থাকলেও তারা বিদেশী ঋণের উপর অত্যধিক নির্ভরশীলতা হ্রাস কমানোর ওপর জোর দিয়েছেন।

জুন মাসে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ১১০ দশমিক ৫ টাকা হারে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১ লাখ কোটি টাকা। বিদেশী ঋণের ক্রমাগত বৃদ্ধি 2023 সালের জুন মাসে মাথাপিছু ঋণ 580 ডলারে পৌঁছেছে যা 2017 সালের জুনে ছিল 283 ডলার।