চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪০ দিনেই অনলাইন ব্যবস্থায় সারাদেশে প্রায় ৪০ কোটি টাকার বেশি ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) আদায় করা হয়েছে।

শনিবার (১৩ আগস্ট) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমি অফিসে না গিয়েই অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার সুবিধার কারণে নাগরিক হয়রানি অনেক কমছে। ফলে দেশের নাগরিকদের মধ্যে নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। অর্থবছরের প্রথম থেকেই ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির নিয়ামক বলে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীর ভূমি অফিসগুলোকে ক্যাশলেস (নগদ টাকার লেনদেনহীন) ঘোষণা করা হয়েছে। এসব অফিসে সব ধরনের ফি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে নেওয়া হয়। দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে ঢাকায় অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঢাকাসহ দেশের শতভাগ ভূমি মালিক অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থার আওতায় চলে আসবেন। পর্যায়ক্রমে দেশের সব ভূমি অফিস ক্যাশলেস হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, এরই মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ হোল্ডিং এন্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। ডিজিটাল ভূমি কর ব্যবস্থায় এখন পর্যন্ত চার কোটির বেশি সুবিধাভোগী অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে নিবন্ধন করেছেন। সাড়ে তিন কোটি জমির তথ্য ডিজিটালে রূপান্তর করা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ১০ হাজারের বেশি গণকর্মচারীকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক দাখিলা পাওয়া যাচ্ছে।

ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাধারণ ও সংস্থা পর্যায় মিলিয়ে প্রতি অর্থবছরে সাধারণত ৮০০ কোটি টাকারও বেশি ভূমি উন্নয়ন কর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়। এসব অর্থ শতভাগ অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থার মাধ্যমে আদায় করতে পারলে কর আদায় অধিকতর দক্ষ হবে এবং কর আদায়ের পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।