প্রবাস – Ekush.Info

Category: প্রবাস

২৯ সচিবের ৪৩ সন্তান বিদেশে

অনুসন্ধানে তথ্য ২৯ সচিবের ৪৩ সন্তান বিদেশে প্রশাসনের ২৯ সচিবের ৪৩ সন্তান বিদেশে বসবাস করছেন। এর মধ্যে ১৮ জন সচিবের ২৫ সন্তান বাস করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। বাকি ১৮ জন আছেন…

নিউইয়র্কে আজানের ধ্বনি

নিউইয়র্কে মিলছে জুমার নামাজ ও রমজানে আজান দেয়ার অনুমতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রতি শুক্রবার নির্ধারিত সময়ে জুমার নামাজে এবং পবিত্র রমজান মাসে শুধু মাগরিবের নামাজের আজান দেয়ার অনুমতি দিতে যাচ্ছে শহরটির…

যুক্তরাষ্ট্রে শামীম ওসমানের সঙ্গে তর্ক করা সেই যুবকের বাড়িতে হামলা

যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি ও এমপি শামীম ওসমানের সঙ্গে তর্কে জড়ানো স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বাদল মির্জার (৩২) বাড়িতে হামলা চালিয়েছে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগ। শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে…

ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সতর্কতা জারি

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার আশঙ্কায় নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।  আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের ওয়েবসাইটে ‘ডেমোনেস্ট্রেশন অ্যালার্ট’ শিরোনামে…

ডিজিটাল হাটে গরু কিনতে পারবেন প্রবাসী ক্রেতারাও 

প্রবাসী ক্রেতাদের কোরবানির পশু কেনার সুযোগ থাকছে এ বছরের ডিজিটাল হাটে। করোনাকালে ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া অনলাইন কোরবানির হাট (ডিজিটাল হাট) এবারও অনলাইনে পশু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। ই-কমার্স…

ব্যয় কমিয়েছেন ৯২ শতাংশ মার্কিন নাগরিক

নিউজ চ্যানেল সিএনবিসি ও ব্যবসায়িক ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি মর্নিং কনসাল্টের জরিপ অনুযায়ী, প্রায় সব আমেরিকানই তাদের ব্যয়ের পরিমাণ কমাচ্ছেন। সমীক্ষায় দেখা যায়, ৯২ শতাংশ আমেরিকানই ব্যয় কমিয়ে দিয়েছেন। ওয়ালমার্ট, টার্গেট, হোম…

রিমুভাল প্রসিডিং ডিসমিসাল করতে আবেদনকারীর করণীয়

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে যাদের অ্যাসাইলাম কেসের আবেদন গ্র্যান্ট হয়নি কিংবা হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাদের উচিত কেসটি ডিসমিসাল করা। তাহলে তারা পরবর্তী সময়ে নতুন করে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তখন আবার…

ইমিগ্রেশনে ভয়াবহ প্রতারণা

‘অ্যাম্বেসি রিভিউ’তে বহু বাংলাদেশির অ্যাসাইলাম আবেদন ঠিকানা রিপোর্ট : ‘ল্যান্ড অব অপর্চুনিটি’র দেশ আমেরিকা। এই প্রবাদ বাক্যের বিপরীতে আরেকটি প্রবাদ হলো- ‘আমেরিকা বেশিরভাগের জন্য সুযোগের দেশ, সবার জন্য নয়।’ কিন্তু…

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ইস্যুর নীতিতে পরিবর্তন

গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ইস্যুর নীতিতে পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে ডেপুটি সেক্রেটারি মিস্টার লু…

সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার হার ৮০% বেড়েছে

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়া অভিবাসী বাংলাদেশীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। দুঃসাহসিক এ যাত্রায় শুধু চলতি বছরেই পৌঁছেছেন ১৪ হাজারের বেশি বাংলাদেশী, যেখানে ২০২১ সালে গেছেন ৭ হাজার ৮৩৮ জন।  সে হিসাবে আগের বছরের তুলনায় ইউরোপের দেশটিতে সমুদ্রপথে বাংলাদেশী যাওয়ার হার বেড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তরুণদের চাকরির সংস্থান হচ্ছে না। পুলিশ কনস্টেবল হতে গেলেও বিপুল অংকের ঘুস দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ ও রাজনৈতিক প্রভাব থাকতে হচ্ছে। এ অবস্থায় অপেক্ষাকৃত শিক্ষিত ও সচ্ছল পরিবারের সদস্যরাই মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে অবৈধপথে ইউরোপ যাচ্ছেন। সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের প্রভাবে এ ধরনের অভিবাসন বন্ধ হচ্ছে না। উল্টো দুষ্টচক্রের প্রভাব প্রতিপত্তি দিনদিন আরো বাড়ছে। তবে অবৈধ এ অভিযাত্রা থামাতে হবে।’ ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইতালি অভিযাত্রা চলতি বছর রেকর্ড ছুঁয়েছে। ২০১৮ সালে অবৈধপথে দেশটিতে অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ১১ জন। ২০১৯ সালে এটি ১০ হাজারে নেমে আসে। এরপর ২০২০ সালে সংখ্যাটি ৩২ হাজার ৫৬৩-তে দাঁড়ায়। ২০২১ সালে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইতালি অভিবাসী হয়েছেন ৬২ হাজার ৯৪৩ জন। আর চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্তই দুঃসাহসী অভিযাত্রীর সংখ্যা ৯৪ হাজার ৩৪৩-এ উন্নীত হয়েছে। এক্ষেত্রে গত বছরের তুলনায় ইতালি অভিবাসীর গড় প্রবৃদ্ধি ৪৯ শতাংশের বেশি। অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালিগামীদের গড় প্রবৃদ্ধির চেয়ে বাংলাদেশী অভিবাসীদের হার অবশ্য প্রায় দ্বিগুণ। ২০১৭ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি অভিবাসী হয়েছিলেন ৯ হাজার ৯ জন। এরপর সংখ্যাটি কমে আসে; ২০১৮ সালে ৩৪৯ জন ও ২০১৯ সালে ৬০২ জন গিয়েছিলেন। ২০২০ সালে আবার তা বেড়ে ৪ হাজার ১৪১-তে দাঁড়ায়। এরপর থেকে এ ধরনের অভিযাত্রার সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। ২০২১ সালে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়া বাংলাদেশীদের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৮৩৮ জন। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্তই ১৪ হাজার ২৮ জন ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি গেছেন। ইউএনএইচসিআরের তথ্য বলছে, চলতি বছর ইতালি যাওয়ার জন্য সমুদ্র পাড়ি দিতে ৫১ শতাংশই ব্যবহার করছেন লিবিয়া উপকূলকে। আর তিউনিসিয়া উপকূল হয়ে ২৯ শতাংশ এবং তুরস্ক হয়ে ইতালি গেছেন ১৬ শতাংশ। লেবানন, আলজেরিয়া, সিরিয়াসহ অন্যান্য আরব ও আফ্রিকান দেশ ব্যবহার করছেন অল্পকিছু অভিবাসী। তবে বাংলাদেশীদের ইতালি যাত্রার ক্ষেত্রে লিবিয়া উপকূল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ইতালি প্রবাসী ইকবাল আহমেদ জানান, প্রায় ছয় মাসের যাত্রা শেষে তিনি ইতালি পৌঁছতে পেরেছেন। ঢাকা থেকে প্রথমে দুবাই হয়ে লিবিয়া গেছেন। এরপর দীর্ঘ মরুপথ ও জঙ্গল পায়ে হেঁটে সমুদ্র উপকূলে পৌঁছেছেন তিনি। সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে দুই দফায় ব্যর্থ হয়ে লিবিয়ায় ফিরে এসেছেন। তৃতীয় দফায় তিনিসহ বিভিন্ন দেশের অন্তত ২০ জন ইতালি পৌঁছতে পেরেছেন। বাংলাদেশ থেকে দালাল চক্রের সদস্যদের সঙ্গে ২০ লাখ টাকায় ইতালি পৌঁছানোর চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৩০ লাখ টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে। অবৈধ পথে নাগরিকদের অনুপ্রবেশ নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। অবৈধ বাংলাদেশীদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্যও তাগিদ দিচ্ছে দেশগুলো। এরই মধ্যে কিছু বাংলাদেশীকে ফেরতও আনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পাদিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) চুক্তির আলোকে সরকারকে এটি করতে হচ্ছে। ইউরোপের সেনজেনভুক্ত ২৬টি দেশেই অবৈধ বাংলাদেশী রয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আবার কয়েক বছর ধরে পশ্চিম বলকান অঞ্চলের দেশ বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার জঙ্গল দিয়ে বাংলাদেশীদের ইউরোপযাত্রার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শিরোনাম হচ্ছে। তীব্র শীতের মধ্যে দেশটির জঙ্গলে বাংলাদেশীদের আটকে পড়ার ঘটনা প্রায়ই শোনা যাচ্ছে। বসনিয়ায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) অভ্যর্থনা কেন্দ্রে প্রায় আড়াই হাজারের মতো অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসনপ্রত্যাশী অবস্থান করছেন। তাদেরও ফেরত আনতে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। লিবিয়ায় বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে শত শত বাংলাদেশী নাগরিক আটক রয়েছে বলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদ বেরিয়েছে। বিদেশ গেলে বড় লোক হয়ে যাবেন—এ ধারণাই শিক্ষিত তরুণদের দুঃসাহসিক ইউরোপযাত্রায় টেনে নিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চাকরির অভাব আছে এটি সত্য। তবে দেশে গরিব ও অশিক্ষিতদের চাকরির অভাব নেই। তারা একটা না একটা কাজ পাবেই। শিক্ষিত এমএ-বিএ পাস—এ শ্রেণীর চাকরির খুব অভাব। সবাই চাকরি চান কিন্তু নিজে উদ্যোক্তা হতে চান না। আর ভাবেন বিদেশে গেলে তারা হয়তো বড়লোক হয়ে যাবেন। কিছু ক্ষেত্রে সত্যিই বড়লোক হয়ে যাচ্ছেন। এর একটা প্রভাব অন্যদের ওপর পড়ছে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশীদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বেশি বলেই মনে হয়। ভারতে প্রবণতা এতটা নেই। ভারতীয়রা মনে করে সুযোগ পেলে যাব, অন্যথায় নয়। আর আমাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় সুবিধা-অসুবিধা বিষয় না, যেতেই হবে। অন্য কোনো দেশে এমন প্রবণতা দেখা যায় না। ইতালিতে আন্ডার এজ বা ১৮ বছরের নিচে বাংলাদেশীদের সংখ্যা সর্বোচ্চ। এটা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এর জন্য পরিবারসহ সবাইকে বুঝতে হবে যে, বিদেশ যাওয়ার অর্থই সুদিন না। কারণ যারা দেশে আছেন তারা খুব খারাপ করছেন এমনটা নয়। কিছু লোক বিদেশে গিয়ে অ্যাসাইলাম পাওয়ার জন্য দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’ তরুণদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য সরকার বিনিয়োগে জোর দিচ্ছে বলে জানান ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘তরুণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। এটা আমাদের ওপরে বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য আমরা বিনিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছি। বিনিয়োগ হলে কর্মসংস্থান বাড়বে। অন্যদিকে বাণিজ্যও বাড়বে। ব্যবসা-বাণিজ্য দেশে ভালো হলে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতাটা কমবে।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশীরা ১০৫ কোটি ৪২ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এর আগের অর্থবছরে তারা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ৮১ কোটি ডলার।